কুষ্টিয়ার কবুরহাটের রফিকুলের স্ত্রী এক সন্তানের জননী প্রতিবেশী তরুনের হাত ধরে নিরুদ্দেশের পর তাদের ফিরিয়ে আনার পর ওই তরুনকে কান ধরে ওঠবোস ও ২৫ হাজার টাজা জরিমানা করেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মাতব্বররা । এ ঘটনায় এলাকায় মুখরোচক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট কদমতলা গ্রামের বস্তা ও গুড়া ব্যবসায়ী রফিকুলের স্ত্রী এক সন্তানের জননী শোভা খাতুন ( ২৫) প্রতিবেশী আরবের ছেলে ১৭ বছরের এক তরুন রাসেলের হাত ধরে গত ২১ শে জুলাই নিরুদ্দেশ হয়। ঘটনার পর তারা বয়ে করে ৫ দিন পরে গত ২৬ জুলাই শোভা ও রাসেল এলাকায় ফিরে আসে।
এ সময় রফিকুল তার বউকে আবার ফিরিয়ে নিতে উঠে পরে লাগে। এরই এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেদ হোসেন হেলাল দুই পক্ষ কে ডেকে নিয়ে শালিসি বৈঠকে রাসেলকে তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে চাপ দেয়। এতে রাসেল রাজি না হওয়ায় তাকে কান ধরে উঠবোস ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর দিকে রফিকুলের ঘরে স্ত্রী শোভা কে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে রাসেলের বাবা আরব আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, গত বৃহস্পতিবার শালিসি বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা জরিমানার ওই দিনই ৫ হাজার টাকা পরিশোধের পর আজ শনিবার বাকি ২০ হাজার টাকা মেম্বরের কাছে দেয়ার জন্য সমাজের মাতব্বরের হাতে তুলে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য খালেদ হোসেন হেলালের ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিব করেননি। তবে এই জরিমানা কি করা হয়েছে তা জানা যায়নি।