কুষ্টিয়া এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। ওই যুবলীগ নেতা কে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। তবে তার একটি হাত কেটে ফেলা লাগতে পারে বলে আশংকা করছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত ওই যুবলীগ নেতার নাম মিজানুর রহমান বাবু (৩৫)। সে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বাড়ুইপাড়া ইয়নিয়নের মশান কেউপুর গ্রামের উফান মেম্বরের ছেলে।
আহত মিজানুর রহমান বাবু জানান, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে একই গ্রামে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায় সে । এ সময় সে লক্ষ করে তার বোনের জমিতে থাকা গাছ একই এলাকার মৃত রবজেল মন্ডলের ছেলে গফুর এবং গফুরের ছেলে নাজমুল, সম্রাট, জুয়েল, আরিফ কেটে নিচ্ছে। এসময় বাবু প্রতিবাদ করলে গফুর, নাজমুল, জুয়েল, আরিফসহ ৬/৭ জুন ধারলো অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালাই এবং তাকে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রাখে। এ সময় বাবুর আত্মচিৎকারে আপাপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বাবুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহত বাবুর শরীরের বেশ কয়েক জায়গাতে জখম হয়েছে তবে তার হাতের জখম বেশ গুরুতর।অপারেশনথিয়েটারে নেয়ার পরে জানাতে পারবে হাতটির কি অবস্থা।
এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছেন, যুবলীগ নেতা বাবু তার বোনের জায়গার দখল ঠেকাতে ঘটনার আগে তার বোনের বাড়িতে যায়। পরে প্রতিপক্ষরা জমির গাছ কেটে দখল নেয়ার সময় তাদের সাথে বাবুর কথাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে সে আহত হয়।