কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইভটিজারদের সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী ছাত্রীদের যাওয়া আসার পথে বখাটে যুবকের হাতে উপজেলার প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যয়নরত শতশত ছাত্রী। এসব ছাত্রীরা ইভটিজিং এর ফলে হয়রানি হলেও লজ্জায় অভিভাবকদের কাছে প্রকাশ করে না।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলায় ইভটিজিং রোধে প্রশাসনিক ভাবে কোন প্রচারণা না থাকায় স্কুল কলেজ ও মাদরাসাগামী ছাত্রীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎপেতে থাকা এসব বখাটেদের কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও উত্ত্যক্ততা সহ্য করে যাচ্ছে নীরবে। অনেক ছাত্রী বখাটেদের লাঞ্ছনার শিকার হয়ে লেখা পড়া থেকে বঞ্চিতও হয়েছে।
উপজেলার কুমারখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কুমারখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এলাকায় প্রায় সময় ইভটিজার বিচরণ দেখা যায়। অনেক বখাটে রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা। সূত্রে জানা যায় উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রীরা যাওয়া আসার পথেই ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে বেশি। বখাটেরা সকালে ঘুম থেকে ওঠেই স্কুলের টাইমে নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান নেয়। এবং তার টার্গেটের মেয়েটিকে দেখলেই ছুঁড়ে দেয় প্রেমের প্রস্তাবসহ নানারকম অশ্লীল বাক্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুমারখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রীর অভিযোগ তারা যখন প্রাইভেট বা স্কুলে যায় তখন স্কুল এলাকার কিছু উচ্ছৃক্মখল বেকার যুবক তাদের নিয়ে নানা ধরনের কটুক্তি করে। এর ফলে তারা স্কুলে বা প্রাইভেট এ যেতে সাহস হারিয়ে ফেলে। রাস্তার পাশে চায়ের দোকান বা বিভিন্ন দোকানে বখাটেদের উপস্থিতি দেখা যায়।
এছাড়াও কুমারখালী জে এন উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রী জানায়, স্কুলের সামনে ক্লাসে যাওয়া ও ছুটির সময় পথ আগলিয়ে থেকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এবং মোবাইল নাম্বার নিতে চায়। এরকম আচরণ প্রায় সময় তাদের প্রতি বখাটেরা করে বলেও জানান।
কুমারখালী মহিলা কলেজের একাধিক ছাত্রী জানায়, বখাটেদের উৎপাতে তারা ক্লাস করতে পারছে না। এসব বখাটেরা তাদের দেখলেই অশ্লীল গান পরিবেশন ও ভিডিও মোবাইল এ তাদের চিত্র ধারনের অভিযোগও করেন তারা।
কুমারখালীতে এভাবে ইভটিজারদের সংখ্যা দিনদিন বাড়লেও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার মত কোন কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সচেতন মহলের দাবি অবিলম্বে এসব ইভটিজারদের আস্তানা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অনেক মেধাবী মুখই এসব বখাটেদের কারণে অকালে ঝড়ে পড়বে।