কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিসে ঢুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছে ওই ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ সভাপতি আমির হোসেন হামু। বটতৈল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসাপাড়ায় সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে আওয়ামীলীগের ওই অফিসের জানালা দরজা ভাংচুর অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় কয়েকজন। পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা এসে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পাই, রুমে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি মেঝেতে ফেলে ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া রুমে থাকা টিভি, ওয়াইফাই, ও আসবাবপত্রও ভাংচুর করে ওই দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, জিকের একটি কক্ষ নিয়ে আওয়ামীলীগের অফিস করা হলে এবং নামাযের সময় অফিসে ক্যারাম খেলাসহ আড্ডা নিয়ে নিয়ে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপি নেতা কর্মিদের সাথে ইতিপূর্বে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের কয়েক দফায় বাকবিতন্ডা হয়। ওই সূত্র ধরেও এঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা স্থানীয়দের। এ ব্যাপারে বটতৈল ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারি মেহেদি হাসান তারিক জানান, ওই অফিস নিয়ে আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা কর্মিদের সাথে সেখানকার বিএনপি ও জামায়াত নেতা কর্মিদের পূর্বে একাধিকবার বাকবিতন্ডা হয়েছে। সেই জের ধরেই এঘটনা ঘটতে পারে।
বটতৈল ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান এম এ মমিন মন্ডল জানান, মাদ্রাসাপাড়ায় আওয়ামীলীগের অফিসে রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুরের ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। এঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। এদিকে, এঘটনার পর ওই ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ সভাপতি আমির হোসেন হামু স্থানীয় বিএনপি নেতা মজিদ, সুমন, আনিস, জিয়াসহ আজ্ঞাত ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি কোন প্রকার জবাব না দিয়ে চলে যান।