কুষ্টিয়ার লাহিনী বটতলা এলাকার সাগর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করছে শিশুদের লোভনিয় ময়দার চিপস। প্রশাসন নিরব ভূমিকায়। দীর্ঘ দিন ধরে এই নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে চিপস। ডাক্তার বলছে এই চিপস শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
কুষ্টিয়া শহরের লাহিনী বটতলা এলাকায় সাগর এর কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল রিং চিপস। আটা-ময়দার সঙ্গে কাপড়ের রং মিশিয়ে তৈরি করা হয় এসব রিং চিপস। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা মাঠে রোদে শুকানোর পর খোলা ও প্যাকেট জাত করে বাজারে বিক্রি করা হয়। আর শিশুরাই এ ভেজাল চিপসের প্রধান ভোক্তা।
সরেজমিনে লাহিনী বটতলা এলাকায় সড়কের পাশে সাগরের চিপস এর কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, এ কারখানার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন নেই।
কারখানার খোলামাঠে নানা রঙের রিং চিপস রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। চারদিক থেকে ধুলাবালি এসে পড়ছে। শ্রমিকেরা পায়ে ঠেলে রিং চিপস রোদে মেলছেন। সেখানে ডাস্টবিনের দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার হচ্ছে ওই চিপস তৈরীর ময়দাতে। শুধু তাই নয়, চিপস এর কাঁচামাল তৈরী করার সময় গ্লোবস বা শ্রমিক পোশাক ছাড়াই খালি হাতে চিপস তৈরী করছে। চিপস তৈরীর মেশিনের নিচেই স্যাতস্যাতে কাঁদা দেখা গেছে।
তার পাশে একটি বালতিতে দূর্গন্ধযুক্ত ময়দা মাখানো পড়ে আছে। যেখানে আটা মাখানো হচ্ছে তার পাশে পড়ে রয়েছে সিগারেটের ছাই ও প্যাকেট।
কারখানার এক কর্মচারী জানান, এভাবেই দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে আমরা চিপস তৈরী করে আসছি। এতে আমাদের কেউ কোন বাধা দেয়নি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই সাগর তার কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিপস তৈরি করে আসছে। এতে কাপড়ের নিম্নমানের রং ব্যবহার করা হয়।
শুকানোর পর প্যাকেটজাত করে চিপস বিক্রি করা হয়। ক্রেতারা তেলে ভেজে এসব চিপস খান।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।