কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া সস্তিপুর শাহী মসজিদ পাড়া অবৈধভাবে ৮-৯ টি কথিত সমিতির নামে বই বানিয়ে চড়া সুদে অবৈধ্য সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি মহল।
সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ভাদালিয়া সস্তিপুর শাহী মসজিদ পাড়ায় একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে টিকিট বিক্রয়ের কাউন্টার সিস্টেমে অবৈধভাবে ‘‘গরীবের বন্ধু’’ নামে কথিত সমিতির নাম দিয়ে এই সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ওই এলাকার কামরুল, ছানোয়ার, হান্নান, সাবু। ওই একই এলাকায় অপর একটি কথিত সমিতি ‘‘যুব সমিতি’’ নামে অবৈধ ডিপিএস প্রোগ্রাম ও চড়া সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একরাম, চুন্নু ও আনিস নামের আরো একটি মহল।
জানা যায়, কথিত যুব সমিতি ভুক্তভোগীদের থেকে ৩ বছরে ১৫ হাজার টাকার ডিপিএস জমা রাখলে বিনিময়ে ভুক্তভগীদের ফেরত দিচ্ছে ৩০ হাজার টাকা। এই ডিপিএস প্রোগ্রামের সদস্য রয়েছে প্রায় ৭০ জন। সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এই অবৈধ সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এই সব সুদ ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, ক্ষুদ্র ঋণ ও ক্রেডিট প্রোগ্রাম করতে চাইলে যে কোন সংস্থা অথবা এনজিও’র মাইক্রো ক্রেডিট অথরিটির সনদপত্রের প্রয়োজন হয়। অথচ এই কথিত সমিতির মোড়কে সুদের ব্যবসায়ীদের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সমবায় সমিতির রেজিঃ প্রদানকারী এক কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে সরজমিনে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওই এলাকার আব্দুল আজিজ নামের এক চায়ের দোকানী কথিত ‘গরীবের বন্ধু’ সমবায় সমিতির নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ করে। এর জন্য ওই চায়ের দোকানী আজিজের সুদে আসলে ২৭০ টাকা সাপ্তাহিক ভাবে পরিশোধ করা লাগে। চা দোকানী আজিজের মত প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে এই কথিত সমিতি ঋণ দিয়েছে।
এই সমিতির বেধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে কোন ব্যক্তি কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে সমিতির মালিক কামরুল, ছানোয়ার, হান্নান ও সাবু এই উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাষণ আমলের নীলকরদের মত ভুক্তভোগীর বাড়ি যেয়ে জোর পূর্বক কিস্তি আদায় করে। কিস্তি না দিতে পারলে নিয়ে যায় বাড়িতে লালন পালন করা পশু। এই চড়া সুদে ঋণগ্রস্থ হয়ে এলাকার অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় এই সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে বিনা লাইসেন্সে প্রায় ৮-৯ টি সুদের কারবারি সাধারণ জনগণকে বোকা বানিয়ে চড়া সুদে ঋণের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগী পরিবার সহ এলাকাবাসী কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা অতি দ্রুত এইসব সুদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।