কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লাহিনী মিরপুর ও আলামপুরের ৮ গরু ব্যবসায়ীর গরু বিক্রির ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা গাজীপুর এলাকা থেকে ডাকাতরা ছিনিয়ে নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন, লাহিনী মিরপুরের শামিম ইসলাম, হামিদুল ইসলাম, ওবায়দুর, আলামপুরের ইমন বিশ্বাস, হাফিজ বিশ্বাস, ইনামুল, গোপালপুরের আলেক ইসলাম, সিনদাহের নাজমুল ইসলাম।
জানা গেছে, গত ২১ আগষ্ট এই ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম কর্ন ইলিয়াস ব্রাদার্স গরু হাটে গরু বিক্রি করে বেলা ৩টার সময় কুষ্টিয়াগামী একটি ট্রাকে রওনা হয়। ওই ট্রাকে আগে থেকেই গরু ব্যবসায়ী ছদ্মবেশে ১০ ডাকাত অবস্থান করছিলো। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা গাজীপুর এলাকায় ট্রাকটি পৌঁছালে যাত্রী সেজে থাকা ডাকাতরা ব্যবসায়ীদের উপর এলোপাতাড়ি চাকু মারে ও হাতুড়ী পিটা করে, সেখানে দুইজন ব্যবসায়ীকে রাস্তায় ফেলে রেখে বাকী ৬ ব্যবসায়ীকে ময়মনসিংহে নিয়ে যায়।
সেখানে ৫ ব্যবসায়ীকে বস্তায় বন্দী করে ট্রাক থেকে ফেলে দেয়, আর একজনকে কিছুদুর নিয়ে গিয়ে ফেলে দিয়ে ডাকাতরা ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। বস্তাবন্দী ৫ ব্যবসায়ীকে স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধার করে পুলিশে খবর দিলে ময়মনসিংহের নান্দাইল মোডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ ৫ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ৫ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইনামুল কিছুটা সুস্থ্য হলে তাকে সাথে নিয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে এবং ইনামুলের দেয়া তথ্যানুযায়ী ট্রাকের ড্রাইভার হেলপারসহ ৮ ডাকাতকে আটকসহ এক ট্রাক উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নান্দাইল মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ার গরু ব্যবসায়ীদের টাকা ডাকাতিসহ মারধরের ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি ডাকাতি ও হত্যার চেষ্টা এ মর্মে মামলা করে । এরই ভিত্তিতে মামলার তদন্ত চলছে এ পর্যন্ত ৮জন ডাকাতসহ ডাকাতি ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে, জব্দকৃত ট্রাকটির নং ঢাকা মেট্রো (ট) ২০-৬০৬৮।
আটককৃত আসামিরা আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন এবং ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। বর্তমানে আসামীরা জেল হাজতে আছে। ওসি আরো জানান, ডাকাতির ঘটনায় ১৬জন ডাকাত এই চক্রের সাথে জড়িত আছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। আটককৃত ডাকাতদের বাড়ী নাটোর ও গাজীপুর জেলায়। এখন পর্যন্ত মোবাইল চাকু হাতুড়ি ছাড়া কোন টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।
এ দিকে সর্বস্ব হারিয়ে গরু ব্যবসায়ীরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। পরিবার সুত্রে জানা গেছে, আহত ব্যবসায়ীদের মধ্যে শামিম ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১ সেপ্টম্বর শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।