অশিতিপর বৃদ্ধ আফিল উদ্দিন গাইন (৮০) এর সংসার চলে ভিক্ষাবৃত্তির টাকায়। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের দাড়পাড়া গ্রামের মৃত কছের গাইনের ছেলে।
আগামীকাল থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হলে তিনি রোজা রাখবেন। তাই আগামী একমাস তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করবেন না।
এক চায়ের দোকানে বসে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড আছে ৩ মাস অন্তর ১৫ শত টাকা পায়। যা দিয়ে সংসার চলেনা। তাই ভিক্ষা করা খারাপ তা জেনেও পেটের তাগিদে এ পেশায় পা বাড়িয়েছি।
আপনার সন্তানাদি আছে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ৩ কন্যা সন্তান আছে, ৬০ হাজার টাকা করে যৌতুক দিয়ে তাদের বিয়ে দেয়া হয়েছে।
মেয়ে-জামাইরা সাহায্য করেনা? সাহায্য করা দুরের কথা, মাঝে মাঝেই বড় মেয়ের ছেলে আছে বাজার করার জন্য টাকা নিতে আসে।
ভিক্ষা করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আফিল গাইন বলেন, বাজারের রড সিমেন্টসহ বড় বড় দোকানদারদের বেশিরভাগজনই ভিক্ষা না দিয়ে মাফ চান। অথচ ভ্যানচালকরা ফেরান না।
৫/৭ বছর আগে অসহায় বৃদ্ধ এই মানুষটির বাঁশে লেগে বাম চোখটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এখন একচোখ অন্ধ জীবণ যাপন করছেন।