কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া কাপড় ব্যবসায়ী ওমর শেখ (৫৭)কে গতকাল রাত ১০টায় ভাদালিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা হাত ও পায়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাতপাতাল মর্গে রেখেছে।
জানা যায়, জিয়ারখী ইউনিয়নের বেলঘরিয়া গ্রামের মৃত আফসার শেখের ছেলে ওমর শেখ (৫৭) ভাদালিয়া বাজারে কাপড়েরর ব্যবসা করতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার সময় তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বেলঘরিয়া বাড়ী যাওয়ার পথে মধ্যে বেলঘরিয়া ব্রীজ নামক স্থানে পৌছালে অস্ত্রধারী ৪/৫জন সন্ত্রাসীরা তাকে মুখ চেপে ধরে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এতে তার হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মক জখম হয় এবং প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। এ সময় আহত ওমর শেখের আত্মচিৎকারে পথচারীরা ছুটে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক আহত ওমর শেখকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, আলামপুর ইউনিয়নের স্বস্তিপুর গ্রামের তোতার ছেলের মজিদ মৃত ওমর শেখের জামাই। এই মজিদের সাথে তার প্রতিবেশী মনজেরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন আগে এই জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য মাপামাপি হয়। সেখানে নেতৃত্ব দেন মৃত ওমর শেখ। এরই জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এর সাথে কথা হলে, তিনি এই হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, ঘটনাস্থলে রয়েছি। কি কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে তা উৎঘাটনের চেষ্টা চলছে।
অপর একটি সুত্র জানায়, নিহত ওমর শেখের জামাই মজিদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানায় পুলিশ নিয়ে এসেছে। এই হত্যাকান্ড নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।