কুষ্টিয়া জেলার নবাগত পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম বলেছেন, কুষ্টিয়াবাসীকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্যই আমি কুষ্টিয়ায় এসেছি। আমার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীমুক্ত কুষ্টিয়া জেলা গড়ে তোলা। আপনাদের মাধ্যমে আজ থেকে আমি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। মাদক নির্মুলের ক্ষেত্রে কোন তদবির শোনা হবে না।
তিনি বলেন, এখন থেকে মাদককে যে প্রশ্রয় দেবে সেই পুলিশ কর্মকর্তা কুষ্টিয়া জেলায় চাকরি করতে পারবে না। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক সচেতনতা বিরোধী ক্যাম্পেইন শুরু করারও ঘোষণা দেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সম্মেলন কক্ষে জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম মতবিনিময় করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, এতদিন কি হয়েছে সেটা আমি বলতে পারবোনা। এখন থেকে পুলিশ হবে জনগণের বন্ধু এবং সেবক। আমার দপ্তর সাধারণ মানুষ জনের জন্য সব সময় উন্মুক্ত থাকবে। আগে সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করার সময় নির্ধারিত ছিল। এখন থেকে সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত সাধারণের জন্য সাক্ষাত উন্মুক্ত রাখা হবে।
পুলিশ সুপার চারটি বিশেষ সেল চালু করারও ঘোষণা দেন। সেল গুলো হচ্ছে-নির্যাতিত এবং অবহেলিত নারী ও শিশুদের জন্য, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, বৃদ্ধদের জন্য আলাদা সেল এবং মিডিয়াকর্মীদের তথ্য সহায়তা প্রদানের জন্য মিডিয়া সেল। সময়ের কাজ সময়ে করতে পচ্ছন্দ করেন এই ব্রত নিয়ে তিনি পথ চলেন এ কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি এর আগে র্যাবে-এ কাজ করেছি।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সন্ত্রাস কবলিত জনপদ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চরমপন্থী-সন্ত্রাসীদের সাথে যুদ্ধ আমার জন্য নতুন কিছু নয়। চরমপন্থী সর্বহারাদের সাথে বন্দুকযুদ্ধ করতে গিয়ে তিন তিনবার শরীরে গুলিবিদ্ধ হয়েছি। ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি গর্বিত এ কারণে যে আমার বাবা-মা দুজনই মুক্তিযোদ্ধা। আমি সব সময় সন্ত্রাস, জঙ্গী ও ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বির্নিমানের স্বপ্ন দেখি।
নিজেকে একজন মিডিয়াবন্ধব পুলিশ কর্মকর্তা বলে দাবি করে বলেন,আমি যেখানেই কাজ করেছি সেখানেই গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আমার সুসম্পর্ক ছিল। গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিয়ে এক যোগে কুষ্টিয়া জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করার ঘোষণা দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়াতে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের আগে এসএম তানভীর আরাফাত ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার ছিলেন। ২৪ তম বিসিএস এর মাধ্যমে তিনি পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। মতবিনিময় সভায় কুষ্টিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল নুরানী ফেরদৌস দিশা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেড়ামারা সার্কেল নূর-ই আলম সিদ্দিকী, এএসপি পুলিশ হেড কোয়ার্টার মো: শহিদুল্লাহ, কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) নাসির উদ্দিন, ডিআই ওয়ান আসাপোট সেন্টার করবেন, অসহায় নারীদের জন্য সেল করবেন।