কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বাড়ির ৫টি ঘরসহ নগদ টাকা, কৃষি পণ্য, আসবাবপত্র, পোশাক আশাক, সহ সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৭টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের আল্লারদর্গা মাস্টারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও সরু গলির কারণে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে পারি নাই। প্রায় ঘণ্টাব্যাপি চেষ্টায় গ্রামবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কার্যালয়ের স্টেশন অফিসার ও এলাকাবাসী জানায়, জোয়া দুলের ঘরের মেইন সুইচ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন সব কয়টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে খবর দেওয়ার পর তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে গ্রামবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার রাস্তা সরু গলি হওয়ার কারণে তারা পৌঁছাতে পারেনি বলে ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা জানান।
কিন্তু ততক্ষণে ঘরগুলোতে থাকা পরিধেয় বস্ত্র, আসবাবপত্র, চাল, ভুট্টা, রসুন, ও নগদ টাকাসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে মাস্টার পাড়া গ্রামের জোয়াদুল, হাবিল,তুজামের ৩টি বাড়ির ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পেশায় তারা সবাই দিনমজুর এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হওয়ায় সবকিছু হারিয়ে পরিবার তিনটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে সবকিছু মিলে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সবকিছু হারিয়ে আমরা এখন পথের ভিখারী হয়ে গেছি। সরকারি কোন অনুদান ছাড়া আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয় ।
এদিকে দৌলতপুর থানা পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর জেলার প্রায় সমান এরিয়া হলেও এখানে কোন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই, ফলে পার্শ্ববর্তী থানা ভেড়ামারা হতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে আসতেই সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়। তাই দৌলতপুর বাসির প্রাণের দাবি অতি দ্রুত দুইটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই।