দৌলতপুরে ক্লাসরুম থেকে বের করে নিয়ে এসে লাঠিসোঠা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
বুধবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে উপজেলার বালির দিয়াড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষকের নাম আহসান হাবিব। তিনি বর্তমানে দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনা দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানানো হলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দৌলতপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পরে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আহত শিক্ষক আহসান হাবিব জানান, তার স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সম্রাট আলী স্কুলের ক্লাসরুমের সামনে মোটরসাইকেলে হর্ণ বাজাচ্ছিল। তাকে নিষেধ করায় ওই শিক্ষার্থী সে শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে সে তার ৩ ভাই মিলন আলী, তুফান আলী ও তুষার আলী সন্ত্রাসী কায়দায় স্কুলে প্রবেশ করে। এ সময় ওই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিচ্ছিলেন। তাকে ক্লাসরুম থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সামনে তারা লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এ সময় অন্যা শিক্ষকরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওবায়দুল্লাহ দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে আবেদন করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন।
এদিকে দৌলতপুর শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। শিক্ষক নেতা ইয়াকুব আলী ও মজিবর রহমান এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
উল্লেখ্য, গত মাসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন মোহনকে বেধরক মারপিট করে এই সন্ত্রাসীরা। বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে তারা। অবিলম্বে এই সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে না ধরলে আরো বড় ধরনের ঘটনার জন্ম দিতে পাতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।