গত ১২ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কেরামোত আলী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ৯ মেম্বারের ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে নানা অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগ নামা থেকে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ অর্থ উত্তোলন করিয়া আত্মসাৎ। ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছর থেকে আজ পর্যন্ত ADP এবং উন্নয়ন প্রকল্পের কোন মিটিং/রেজুলেশন না করে নিজেই সমস্ত কাজের টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কর্মদক্ষতা ও মূল্যায়নের প্রথম কিস্তি- ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও ২য় কিস্তি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার কোন কাজ না করে মিটিং এবং রেজুলেশন ছাড়া টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করেন।
উপরোক্ত, অভিযোগের ভিত্তিতে মেম্বাররা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনি এলোমেলো কথা বলেন, তাদের দাবি কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই। চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কেরামত আলী বিশ্বাস নির্বাচনী শপথ ভঙ্গ করেছে বলেও বলেন তারা। এদের দাবি চেয়ারম্যান বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এর আগেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা প্রশাসক সহ অন্যান্য কার্যালয় অভিযোগ দায়ের করে।
এইসব বিষয় নিয়ে কথা বললে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন গুন্ডাবাহিনী দিয়ে ভয়-ভীতি দেখাতে বলেও জানান অনাস্থা দানকারী মেম্বাররা। ৯ নং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য রাশিদুল ইসলাম, ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মজিদ, ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য শামসুর রহমান, ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মানিয়ার বিশ্বাস, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাশেম, সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইসমত জাহান , সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য নাসরিন খাতুন ও সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য বুলবুলি খাতুন।
৯নং ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মজিদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাস কোন মাসিক মিটিং করেন না। দুই বছর আগের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রকল্পের মিটিং দেখায় তিনি।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাউদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা আমাদের নিজেদের মধ্যেকার সমস্যা। আমরা নিজেরাই বসে সমাধান করে নিব। এসব বিষয় নিয়ে নেতার সাথে কথা হয়েছে বলে ফোনটি কেটে দেয়।
এই অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুলি আয়নার বলেন এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এই অভিযোগের বিষয়ে মৌখিক ভাবেও কেউ আমাকে জানায়নি। এদিকে গত ১২ই সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার এই অভিযোগের কপি রিসিভ করে।