আগামীকাল ১লা মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আঁখড়াবাড়িতে শুরু হবে তিনদিনব্যাপি লালন স্মরণোৎসব। সেই সাথে বসবে গ্রামীণ মেলা। সন্ধ্যায় দোল পুর্ণিমার রাতে আনুষ্ঠানিভাবে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজারে ৩দিন ব্যাপী স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করা হবে।
এ লালন স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশি ও বিদেশী লাখো বাউল ভক্তদের আগমন হবে লালন আঁখড়াবাড়িতে।সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমীর আয়াজনে এ লালন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এবারে লালন মেলার প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারন করা হয়েছে মরমী সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির অমর বানী “সময় গেলে সাধন হবে না”। স্মরণোৎসব ও গ্রামীন মেলা চলবে ৩মার্চ শনিবার পর্যন্ত।
প্রথম দিনে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে স্মরণোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ মাহবুব-উল-আলম হানিফ। আলোচনা সভা শেষে মঞ্চে শুরু হবে বহুল প্রতিক্ষিত লালন সঙ্গীত।যা গাইবেন লালন একাডেমীর শিল্পীরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত খ্যাতনামা বাউল শিল্পী ও ভক্তবৃন্দরা।
ইতোমধ্যেই মাজার প্রাঙ্গণ ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে এক বর্ণিল পরিবেশের সৃষ্টি করেছে একাডেমী কর্তৃপক্ষ।ভক্ত অনুসারীরা আগে থেকেই লালন আখড়ায় জায়গা করে নিতে শুরু করেছে। আসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাউল, সাধু আর বিদেশি লালনভক্ত অনুরাগীরা।বাউল সম্রাট লালন শাহের জীবদ্দশায় চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহে পুর্ণিমার রাতে দোলপুর্ণিমার উৎসব পালন করা হতো।
সেই থেকে লালন ভক্তরা প্রতি বছরই তাদের কাংখিত এই উৎসব পালন করে থাকে। কুষ্টিয়া লালন একাডেমীর সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক (খাদেম) মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মরমী এ সঙ্গীত সাধকের বার্ষিক স্মরণোৎসব উপলক্ষে তার সাধন-ভজনের তীর্থস্থান ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণ পরিণত হয় উৎসবের পল্লিতে। দেশ-বিদেশ থেকে লালনভক্ত, বাউল অনুসারী ও সুধীজনসহ অসংখ্য মানুষের এখানে আগমন ঘটে। এবারো তার ব্যাতিক্রম হবে না। ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশের সাধুরা মাজারে আসতে শুরু করেছে।
এদিকে লালন স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক নিয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক জহির রায়হান বলেন, লালন স্মরণোৎসব ও গ্রামীণ মেলাকে কেন্দ্র করে মাজার প্রাঙ্গণ ও তার আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুরো মাজার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জেলা পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ এর পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।