দেশের বৃহত্তম চাউলের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর ড্রেনের উপর দোকান ঘর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নির্মান ও রাস্তার উপর যত্রতত্র ট্রাকে মামালাল লোড আনলোড করায় সেখানে যানজট যেন নিত্যদিনের। সেখানে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে দূর পাল্লার যাযাত্রীরা নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হলেও যেনো দেখার কেউ নেই!
আজ শুক্রবার সকাল থেকে সকালে খাজানগর সরেজমিনে দেখা যায়। বেশ কিছু রাইচ মিলের সামনে রাস্তার উপর ট্রাক থামানো। যে কারনে সেখান দিয়ে একটি করে গাড়ি যাওয়ার রাস্তা থাকায় অপর দিকের গাড়ি গুলোকে দাঁড়িয়ে ইপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ সময় দুই পাশে বাস-ট্রাকসহ কয়েক গাড়ি আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, খাজানগর এলাকার বেশ কয়েকজন মিল মালিক প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার পাশের ড্রেন বন্ধ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এ ছাড়াও সেখানে রাস্তার উপর ট্রাক পার্কিং করে মালামাল লোড আনলোড করার কারনে সেখানে যানজট এখন নিত্যদিনের।
এ দিকে জেলাপরিষদের এই সড়কটি ব্যাবহার করা হয় জেলা সংযোগ সড়ক হিসেবে। কুষ্টিয়া চুয়াডাঙ্গাসহ বৃহত্তম কাপড়ের হাট পোড়াদহ যাতায়াতে বাস গুলো যানজটে আটকা পড়ে প্রায়ই চরম দূর্ভোগে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। ধানের মৌসুমে এখন খাজানগরে প্রতিদিন হাজার হাজার ধান- চাল বোঝাই ট্রাক পার্কিং করে রাখায় এখান দিয়ে চলাচলকারীদের যানজটের কারনে দূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। অনেক সময় যানজটে পরে জরুরী প্রয়োজনে রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌছাতে বেগ পেতে হয়। এ ছাড়া নিদিষ্ট সময় ট্রেন ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে পোড়াদহগামী অনেক যাত্রী।
এ ছাড়াও এ এলাকার বিদ্যালয়, কলেজ, ব্যাবসায়িক, এমন কি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে যাবার একমাত্র সড়ক এটি। যানজটে পড়ে কর্মজীবী মানুষেরা সঠিক সময়ে যে যার গন্তব্যে পৌছাতে পারছেন না। প্রায় প্রতিদিন ঘটছে নতুন নতুন দূর্ঘটনা,আর ব্যাস্ততম সড়কটি তে দীর্ঘ যানজট জনজীবন কে করে তুলেছে মহাবিড়ম্বনার এক নতুন সূচনায়।
জনগুরুত্বপূর্ন্য এই সমস্যা সমাধানে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।