কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া এলাকার গড়াই ইটভাটার মালিক মৃত আব্দুল গনি শেখের ছেলে মিরাজুল হক মিরাজকে হত্যা করে লাশ গুম করে একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আলতাফ, শাহাজাহান, কোহিনুর, আলাউদ্দিন, ইসমাইল, লালন, মান্নান, আলমগীর ও সলেমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেওয়া হয়। এরপরই আলতাফের লোকজন বাদীকে নানানভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করে আসছে। মিরাজের ভগ্নিপতি ও গড়াই ভাটার পরিচালক স্বাধীন শেখের বিরুদ্ধে একটি মেয়েকে দিয়ে দায়ের করা হয় ধর্ষণ মামলা। এবার সেই চেষ্টা শিকার স্বাধীন শেখের ছেলে সোহাগও!
ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার সকালে। কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর দাসপাড়ার সোহেল আলীর ছেলে কাওছার আলী (১৭) তার বান্ধবী হরিশংকরপুর মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিজের নিচে ঘুরতে যায়। এ সময় অসামাজিক কার্যকলাপ দেখে স্থানীয় যুবকরা তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন। পরে লাহিনীপাড়ার ওই ছাত্রীকে দিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার চেষ্টা করে আফতাফের লোকজন। যদিও পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তবে সোহাগ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানান অপ্রচার তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, ওই ঘটনা আমলে নিয়ে কুমারখালী থানার ওসি মজিবর রহমান তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। তদন্তকারী কর্মকতা কুমারখালী থানার এস আই হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে ষড়যন্ত্রের আলামত পান। পরে বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা না করতে পেরে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার ও আলতাফের লোকজন।
উল্লেখ্য, লাহিনীপাড়া গড়াই ইটভাটার মালিক মৃত আব্দুল গণি শেখের ছেলে মিরাজুল হক মিরাজকে ২০১৫ সালের ৪ জুনে সন্ত্রাসী গ্রুপ অপহরণ শেষে লাশ গুম করে।