বাংলাদেশের মানুষ মাছে-ভাতে বিশ্বাসী। কারন আমরা বাঙালি জাতি। এটাই আমাদের বড় পরিচয়। কিন্তু আমাদের ভেতর কিছু সৌখিন মানুষ আছে যারা দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের মতো যেন খবর পেলেই ছুটে চলে দুরন্ত গতিতে। এই মানুষ গুলি হলো মৎস্য শিকারিরা। যারা মৎস্য শিকার করে বেড়ায় সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে। যে কোন যায়গায়ই হোক না কেন ছুটে চলে দুর্দান্ত গতিতে এতটাই প্রিয় মৎস্য শিকারীদের যেনো খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে রাত দিন নদী ও পুকুর ও জলাশয়ের তীরে বসে মাছ ধরার চেষ্টা চালায়।
অথচ সেই মৎস্য শিকারীদের সাথে প্রতারণা করলো সাওতা কালি নদীর পাড়ের বাসিন্দা ভন্ড কালু।
কে এই কালু ?
বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা যায়, সাওতা কালি নদীতে এই কালু আট হাজার পাঁচশত টাকা টিকিটের মুল্য নেওয়ার পরেও মৎস্য শিকারিরা তাদের অর্থের অনুপাতসম মাছ পায় না। মৎস্য শিকারিদের সাথে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে চলেছে কালু নামের এই ভন্ড। তার আসল পরিচয় হলো সে এক জন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী।
সে কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের নগরসাওতা গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। শত-শত মৎস শিকারিদেরকে দিনের আলো এবং রাতের আধারে ঠকিয়ে চলেছেন মাদক ব্যাবসায়ী কালু। মৎস শিকারিরা অতি দুঃখের সহিত জানান- আমরা ইতোপূর্বে কখনও এরুপ প্রতারণার শিকার হইনি। কিন্তু কালি নদীতে মাছ ধরার সুবাদে এই কালু আমাদেরকে মারাত্নক ভাবে ঠকিয়েছে।
অনুসন্ধান সূত্রে আরও জানা যায়, এই কালু তার মৎস্য শিকার ব্যাবসার আড়ালে মাদক সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। পেশায় একটু ভিন্ন প্রকৃতির হওয়ায় সে প্রায়শই প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।
কিন্তু মৎস্য শিকারিদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, কালুর মূল ব্যাবসা মৎস্য শিকার নয়। সে এই ব্যাবসার আড়ালে কৌশলে মাছ ধরতে আসা শিকারিদের নিকট মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে।
যেখানে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, সেখানে মাদক ব্যাবসায়ী কালু বীরদর্পে মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা আরও জানান, এর আগে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শিকারিদের সাথে বিবাদও সংঘটিত হয়েছে। অবস্থা বেগতিক হবার আগেই প্রত্যেকবার পালিয়ে গিয়েছিলো এই কালু। পরবর্তীতে মৎস্য শিকারিরা তার নিকট গেলে সে পূর্বের কোন কথাই স্বীকার করে না। উল্টে তাদেরকে হুমকি দেয়।
উল্লেখ্য, কালু ইতোপূর্বে অনেকবার মাদকদ্রব্য সহ হাতেনাতে প্রশাসনের নিকট আটক হয়েছে। বর্তমানেও কালুর বিরুদ্ধে একাধিক মাদকদ্রব্য সরবরাহের মামলা চলমান রয়েছে।
মৎস্য শিকারিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা মাছ ধরার নেশায় কালুর নিকট যাই। কিন্ত সে আমাদের নিকট এসে মাদক সরবরাহের কুপ্রস্তাব জানায়। আমরা প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি-ধমকি দেয় কালু। যার ফলে আমরা জোর প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারি না। এভাবে চলতে থাকলে সে মৎস্য শিকারিদের মাধ্যমে কুষ্টিয়াসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মাদকের সাম্রাজ্য বিস্তার করবে।
তাই অতিদ্রুত এ বিষয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মৎস্য শিকারি ও স্থানীয় জনসাধারণ। সূত্র- স্বর্ণযুগ