এস এম মেহেদী হাসান। কুষ্টিয়ার বিদায়ী পুলিশ সুপার। শনিবার ছিলো তার বিদায়। এ উপলক্ষে গাড়ীতে করে ফুলের সমারোহ সাজিয়ে রশি দিয়ে টানতে টানতে তাকে সম্মোহনে সম্মানিত করতেই বের করা হয়। এটা যেন সকল এসপির বিদায়বেলার রেওয়াজ। তার বিদায়ে অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারাও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলো। চোখের পানিতেও বিদায় জানাতে কুন্ঠাবোধও করেনি।
কুষ্টিয়ার বিদায়ী পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান মহোদয় মাদক,সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন । তার একনিষ্ঠ নেতৃত্বে অভিযানের ফলে কুষ্টিয়ায় মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং বাল্যবিবাহ প্রায় সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।
একজন জনবান্ধব পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি কুষ্টিয়া পরিচিতি পেয়েছেন। তার বিদায়ে ব্যাথিত হয়ে অনেক পুলিশ সুপার দু-চার লাইন লিখেছেন। তেমনি কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার(হেডকোয়ার্টার,সদর) মো: শহীদুল্লাহ তার ফেসবুকের ওয়ালে লিখেছেন:
আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী পুলিশ সুপার
২০১৭ সালের ৮ ই মার্চ যে মহানায়ক কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অধিনায়ক হয়ে এসেছিলেন আজকের এই দিনের পড়ন্ত গোধূলী বেলায় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে তিনি নতুন কর্মস্থল চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পথে চলে গেছেন ৷ হ্যাঁ আমি আমাদের সেই মহানায়ক পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান বি পি এম পিপিএম-সেবা বারের কথা বলছি ৷ তিনি আমাদের মাঝে এসেছিলেন, আমাদেরকে তিনি কি করে একজন ভালো পুলিশ অফিসার হতে হবে— কি করে একজন ভালো পুলিশ সদস্য হতে হবে সে শিক্ষা আমাদের দিয়েছিলেন ৷ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা যে সমস্ত পুলিশিং করেছি তাতে করে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ ৬৪ টি জেলার মধ্যে পুলিশিং এর দিক থেকে একটি আদর্শ জেলায় পরিণত হয়েছিল ৷কিন্তু আমাদের পুলিশের চাকরিতে বদলি শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে আছে ৷তাই পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান আমাদেরকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে তার নতুন কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা করেছেন ৷অামরা তাকে কিছুই দিতে পারিনি শুধু তার যাবার পথগুলি বকুল বিছানো ছিল ৷ তাই তো আমরা অশ্রুসিক্ত নেত্রে আজ বলতে পারছি তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেছো ,কিন্তু আমি আমরা তোমার পথ বকুল ফুলে সিক্ত করে রেখেছিলাম ৷আজ তাই আমরা বলতে পারছি তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেছো কিন্তু “তুমি যে গিয়ছো বকুল বিছানো পথে ৷”