কুষ্টিয়া হাসপাতাল মোড় এলাকার রাসেল ফার্মেসী। যার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বিক্রয়ের অভিযোগ ছিল। ইতিপূর্বে বেশ কয়বার মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জরিমানা আদায় করে জেলা প্রশাসক।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে এই ফার্মেসীর মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে থেমে থাকেনি রাসেল ফার্মেসীর মালিককে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বিক্রয়।
আজ আবার কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ রাসেল ফার্মেসীতে অভিযান চালায়। তখন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। প্রচুর পরিমাণে নেশাজাতীয় ট্যাবলেটের পাশাপাশি পাওয়া যায় ফেন্সিডিল। এতে আলাদা আলাদা মামলা করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিজু তামান্না।
প্রথমে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বিক্রয়ের অপরাধে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এরপর দোকানে ফেন্সিডিল রাখার অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাকিম রিজু তামান্না বলেন, রাসেল ফার্মেসী ব্যবস্থাপত্র ছাড়া নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বিক্রয় করার অপরাধে ঔষধ আইন ১লক্ষ ৬০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অপর দিকে দোকানে ফেন্সিডিল রাখার অপরাধে রাসেল ফার্মেসীর মালিক রাসেলকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
রাসেল (৩৫) কুষ্টিয়া নতুন কোর্টপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কুষ্টিয়ায় ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক ওয়াহিদুর রহমান, কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই আনোয়ারসহ সঙ্গীয় ফোর্স।