কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদা গ্রামের বানাত মাস্তানের ছেলে রজব হুজুরের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
তার স্ত্রী আয়েশা (৫২) এর মা আহাজারি করে জানান, ৪০ বছর পূর্বে কুমারখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আগ্রা কুন্ডা গ্রামের মৃত আসমত আলী শেখের মেয়ের সাথে রজব হুজুরের বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। যথারীতি ছেলেদের এবং মেয়ে সবার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর হতেই রজব হুজুর তার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করলেও আয়েশার এটি দ্বিতীয় বিয়ের কারণে সে সব কিছুই মুখ বুজে সহ্য করত। দেখতে দেখতে এভাবেই বিয়ের ৪০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায়। সম্প্রতি দুমাস আগে রজব হুজুর আয়েশাকে প্রচন্ডভাবে মারধর করে তার শ্বশুরবাড়িতে রেখে যায়।
আয়েশার মা জানান, তার মেয়ের শরীরে সে সময় বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। অবশেষে গত ১০ অক্টোবর নানা ছলনায় রজব হুজুর আয়েশাকে পুনরায় তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ১১ তারিখে খবর পাঠায় আয়েশা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আয়েশার মা এবং তার স্বজনদের আকুতি আয়েশা কে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রজব হুজুরের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, তার স্ত্রীর মাথায় সমস্যা ছিল যে কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
অপরদিকে আয়েশার মা জানান, তার মেয়ের মাথায় কোন সমস্যা ছিল না রজব হুজুর ভন্ড পীর সে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মে লিপ্ত থাকার কারণে আয়েশা প্রতিবাদ করত যে কারণেই তার প্রতি রজব শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।