কুষ্টিয়া সুগার মিলের ৬৪টি গাড়ির মধ্যে ৬১টি গাড়ির কাগজপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ। এভাবেই চলছে দীর্ঘদিন মহাসড়কে
কুষ্টিয়া দাদাপুর সড়কের এম আর এস তেল পাম্পের সামনে গতকাল বিকেলে সুগার মিলের ফিটনেসবিহীন দুই বগি বৈশিষ্ট্য ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সাবেক সেনা সদস্য গুরুতর আহত।
আহত সাবেক সেনা সদস্য কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মৃত নজের আলীর ছেলে মকলেচুর রহমান (৫০)। আহত মকলেচুর রহমানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘাতক দুই বগি বৈশিষ্ট্য ট্রাক্টরের রেজি নং- ই-১১-০০০৫। এই ট্রাক্টরটি কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশ আটক করেছে।
আহত সাবেক সেনা সদস্যের ছেলে মিলন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় ঈদের বাজার করতে কুষ্টিয়াতে আসে আমার পিতা। ঈদের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে আমার পিতা কুষ্টিয়া দাদাপুর সড়কের দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকা অফিসের সামনে কুষ্টিয়া সুগার মিলের ট্র্যাক্টরের সাথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। তিনি এখন কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইমরান আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই ট্রাক্টরটি সুগার মিলের। আমরা গাড়িটি আটক করে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। ওই ট্রাক্টরটি চিনি বোঝাই ছিল। এখন ট্রাক্টরটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। গাড়ির কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিআরটিএ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়া সুগার মিলের দুই বগি বিশিষ্ট্য ট্রাক্টরটি ৩ নভেম্বর ২০১০ সাল থেকে সব কাগজপত্র ফেল রয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সুগার মিলের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আব্দুল কাদেরের গোপনে যোগাযোগ করা হলে, বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। সুগার মিলের মোট ৬৪ টি গাড়ির মধ্যে ৬১ টি গাড়ির কাগজপত্র ফেল রয়েছে। তিনি বলেন ট্রাফিক সপ্তাহ আসার পর আমি এ বিষয়টি জানতে পারি। এক বছর হল আমি কুষ্টিয়া সুগার মিলে যোগদান করেছি। গত তিনদিন ধরে গাড়ির কাগজপত্র রিনু করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এদিকে নিরাপদ সড়ক চাই কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি কে এম জাহিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে সরকারি গাড়ি গুলো যদি ফিটনেস বিহীন অবস্থায় রাস্তায় চলাচল করছে। ফিটনেস বিহীন গাড়ির কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।