গত শনিবার গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র কুষ্টিয়া মডেল থানার ৫০ গজের মধ্যেই অবস্থিত শতাব্দি ভবনের ২য় তলায় এক দুর্ধর্ষ রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, গত শনিবার গভীর রাতে শহরের এন এস রোডের শতাব্দি ভবনের ২য় তলায় রায়হান কালার ল্যাব ও ফুজি কালার ল্যাবে এই রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট নগদ ৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ও প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয় বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রায়হান কালার ল্যাব এর স্বত্ত্বাধিকারী আমিন উদ্দিন জানান, আমি গতকাল রাতে আমার প্রতিষ্ঠান রায়হান কালার ল্যাব রাত ১ টার দিকে বন্ধ করে রেখে চলে যায়। সে সময় শতাব্দি ভবন মার্কেটে নাইট গার্ড আবুল এর ডিউটি ছিল। আমি যাওয়ার সময় দেখি আবুল ঘুমাচ্ছে এসময় আমি তাকে জেগে থেকে তার ডিউটি পালন করতে বলি। পরে সেখান থেকে আমি চলে আসি। সকালে আমি আমার দোকানে গিয়ে দেখি আমার দোকানের সাটার ভাঙ্গা। দোকানের ভেতরে ঢুকে দেখি আমার ৩ দোকানের বিক্রয় করা ক্যাশে জমা রাখা ৮ লক্ষ টাকা, ৩টি ডিজিটাল ক্যামেরা ও ১০০ টি পেনড্রাইভ সহ আনুমানিক প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল নেই। নগদ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য একত্রে রাখা ছিল।
তিনি আরো বলেন, সকাল ৬ টার দিকে নাইট গার্ড আবুল মার্কেট থেকে চলে যায়। তখন সেখানে মার্কেটের ক্লিনার রশিদ ছিল। নিচে একটি ব্যাংকের বুথের সিকিউরিটি মনিরুলও সে সময় দায়িত্বরত ছিল। এদের কারোর যোগসাজশে আমার দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ফুজি কালার ল্যাবের ম্যানেজার আজাদ রহমান জানান, সকাল ৯ টার দিকে আমরা ল্যাব খুলতে গিয়ে দেখি আমার দোকানের সাটারের ২টি তালা কাটা অবস্থায় পরে আছে। সাটারে অন্য একটি তালা লাগানো এবং সামনে চাবি পরে ছিল যা আমাদের প্রতিষ্ঠানের না। ল্যাব খুলে ভেতর গিয়ে দেখি ক্যাশে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা ও একটি ডিজিটাল ক্যামেরা নেই। ক্যামেরাটির আনুমানিক মূল্য ৪৮ হাজার টাকা। তিনিও দাবি করেন মার্কেটের নাইট গার্ডের যোগসাজশে এই চুরির ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে আমিন উদ্দিন ও ফুজি কালার ল্যাবের ম্যানেজার আজাদ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শতাব্দি ভবনের অনান্য প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান শতাব্দি ভবনের সামনেই কুষ্টিয়া মডেল থানা অবস্থিত। মার্কেটের জন্য নাইট গার্ড ও ক্লিনার আছে অথচ এখান থেকে এই ধরণের চুরি হওয়াতে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমরা এই চুরির ঘটনার বিচার চাই। প্রশাসনের কাছে নিরপত্তার দাবিও জানান দোকান মালিকগণ।