কুষ্টিয়ার বিনোদনকেন্দ্র রেণউইক বিনোদন পার্ক ও রিসোর্ট এখন তরুণ-তরুণীরা অবাধ মেলামেশার অভয় আশ্রম। এমন ভাবে তারা বসে আছে এ যেন মনে হচ্ছে ফ্রি সেক্সের দেশে বসবাস করছি আমরা। মাঝেমধ্যে ওখানকার কিছু আনসার সদস্য ঘুরতে দেখলেও তারা এই অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কোনো কিছু বলছে না।
কুষ্টিয়া রেণউইক বিনোদন পার্ক ও রিসোর্ট মনে হচ্ছে ১০ টাকার বিনিময়ে এখানে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অশ্লীলতার লাইসেন্স দিচ্ছে। রেণউইক বিনোদন পার্ক ও রিসোর্ট প্রতিটি গাছের গোড়ায় গোড়ায় এই অশ্লীল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। রেণউইক বিনোদন পার্ক ও রিসোর্ট এর গেটের ওপর লাগানো একটি ব্যানারে লেখা আছে স্কুল-কলেজের কোন ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস চলাকালীন ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু ভিতরে সম্পূর্ণটাই বিপরীত।
শুধুমাত্র একটি গেট, বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য তিনটা স্লিপার ও তিনটা দোলনা এবং চার-পাঁচটা ছাতা নির্মাণ করে তৈরি করেছে রেণউইক বিনোদন পার্ক ও রিসোর্ট। কুষ্টিয়াবাসী গরমের সময় যেখানে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে আসতো সেই জায়গাটি এখন সামান্য টাকার জন্য স্কুলগামী তরুণ-তরুণীদের অশ্লীলতা স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুষ্টিয়াবাসী এখন জেলা প্রশাসকের মুখের দিকে তাকিয়ে। ফিরে কি পাবে আগেকার সেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুস্থ পরিবেশ?
রেণউইক বিনোদন পার্ক ও রিসোর্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন ১০ টাকা নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার মতন পরিবেশ তৈরি হয়নি। এই রেণউইক বিনোদন পার্ক ও রিসোর্ট হওয়ার আগে এখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসত কুষ্টিয়া সহ আশেপাশের অনেকে। কিন্তু রেণউইক বিনোদন পার্ক ও রিসোর্ট হওয়ার পর এখানে পরিবার-পরিজন ও বাচ্চাদের নিয়ে আসাটাই যেন লজ্জাস্কর হয়ে উঠেছে।