কুষ্টিয়ায় এবার এক নারী স্বাস্থ্যকর্মী ও শিশুর দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মা-বাবা করোনাভাইরাসে পজিটিভ হয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিল চার বছরের একমাত্র মেয়ে। গত শুক্রবার রাজবাড়ি পুলিশ তাদের আটকের পরে কুষ্টিয়ার এক সংসদ সদস্যের অনুরোধে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়। তবে মেয়েটি সে সময় করোনা নেগেটিভ ছিল।
আক্রান্ত ২৭ বছর বয়সী ওই নারী মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আক্রান্ত শিশুর বয়স চার। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামে।
গতকাল মঙ্গলবার মেয়েটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর রাত সাড়ে ৭টায় ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যায়। তবে তারা তিনজনই সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, গতকাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ৭৬ জনের পরীক্ষা করা হয় দুজন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর একজন হলো জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে অবস্থানরত দম্পতির সঙ্গে থাকা তাদের সন্তান। অপরজন মিরপুরের একজন নারী।
আইসোলেশন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক জানান, তিনজনই সুস্থ আছেন। মা–বাবার আজ বুধবার নমুনা পরীক্ষা করানো হবে। তাদের নেগেটিভ পাওয়া গেলে মেয়েকে তাদের সঙ্গে বাড়িতে আইসোলেশনে পাঠানো হবে।
এর আগে ঢাকায় নমুনা দিয়ে পজিটিভ জানার পর ওই দম্পতি পালিয়ে আসেন। তবে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্থান জেনে যায়। রাজবাড়ী জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়। ওই দম্পতি ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
তবে আক্রান্ত স্বামী সে সময় চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছিলেন, ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষায় তাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনের পজিটিভ আসলেও মেয়ে ফাতেমার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।