ভেড়ামারায় বিয়ের প্রলোভনে ভাড়া বাসায় ১ বছর যাবৎ কাজের বুয়ার সাথে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ গৃহকর্তা লম্পট সেলিমের বিরুদ্ধে। ♦ নিরাপত্তাহীনতায় গৃহকর্মী জমেলা ♦
ওমর ফারুকঃ- কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাড়া বাসায় এক বৎসর যাবৎ গৃহকর্মীর সাথে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক, ভেড়ামারা থানায় লম্পট সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে গৃহকর্মী জামেলা।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়, টাঙ্গাইলের বাবা মা হারা অসহায় হতদরিদ্র তিন সন্তানের জননী জামেলা (২৭) একজন গৃহকর্মী। তিনি কয়েক বছর আগে ভেড়ামারায় এস বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। কিন্তু গত দেড় বছর পূর্বে লম্পট সেলিম ইসলামের কুনজর পড়ে গৃহকর্মী জামেলার দিকে।
অভিযুক্ত সেলিম ইসলাম ভেড়ামারা উপজেলার ধর্মপুর এর উত্তর ভবানীপুর এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে । এলাকায় গুঞ্জন আছে ছেলে সেলিম ইসলাম বিদেশে থাকাকালীন প্রতারণার মাধ্যমে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এসেছে। লম্পট সেলিম মুখে আল্লাহর কথা ও তার পোশাক এবং শরীরের সুগন্ধির গন্ধ ও দামি গাড়ি দেখে যে কেউই বড় ধরনের ভদ্রলোক বলে মনে করেন।
ভেড়ামারার ধরমপুরে লম্পট সেলিমের নিজ বাড়ি থাকলেও তিনি ভেড়ামারা শহরের চার রাস্তার মোড়ে বিলাসবহুল বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। আর ভেড়ামারার ভাড়া বাড়িতে কাজের বুয়া হিসেবে নিয়োগ দেন জামেলাকে ।
জামেলা ভালো বেতন আর নানাবিধ সুযোগ সুবিধার আশ্বাসে ভালো থাকার আশায় সেলিমের বাসায় সারাদিন কাজ করতে রাজি হন। সেলিমের বাসায় সারাদিন সেলিম আর ঝামেলা ছাড়া কেউ থাকতো না।
ফাকা বাসায় জামেলাকে একা পেয়ে লম্পট সেলিম জমেলাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। জামেলা শারীরিক সম্পর্ক করতে রাজি না হলে লম্পট প্রতারক সেলিম ইসলাম তাকে বিভিন্নভাবে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করে রাজরানী করে রাখার আশ্বাস দেন। তারপর এভাবেই দীর্ঘদিন যাবৎ চলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক।
কিছুদিন পূর্বে জামেলা তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে সেলিমকে বিয়ের জন্য প্রেসার দিতে থাকে। আর এরই ফাঁকে সেলিম অন্য একজনকে বিয়ে করে ফেলে।
গৃহকর্মী জামেলা কোন উপায় না দেখে ভেড়ামারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে সেলিম ক্ষিপ্ত হয়ে তার পশ্য ক্যাডারবাহিনী দিয়ে ঝামেলা কে ভেড়ামারা ছাড়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন ।
জামেলা ভেড়ামারা ছাড়ার জন্য রাজি না হলে আজ বৃহস্পতিবার সেলিম স্থানীয় এক মেম্বার মারফত ৫০০০ টাকা দিয়ে মীমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। জামেলা মীমাংসা করতে রাজি না হলে স্থানীয় মেম্বার তাকে ফোন করে ভেড়ামারা ডাকবাংলোর সামনে আসতে বলে। জামেলা ডাকবাংলোর সামনে দেখা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয় বলে জামেলা অভিযোগ করেন ।
বর্তমানে জামেলা তিন সন্তান নিয়ে চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা দিনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় যোগাযোগ করা হলে ভেড়ামারা থানা সূত্রে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করেন ।