নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বীথি (২২) নামে এক গৃহবধুকে গণধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার ১২দিন অতিবাহিত হলেও হত্যার সাথে জড়িত ধর্ষকরা কেউ গ্রেফতার না হওয়া নিহত গৃহবধুর দরিদ্র অসহায় পিতা চরম আতংক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চরবাহিরমাদী গ্রামের আইয়ুব খা’র মেয়ে বীথিকে একই ইউনিয়নের সাতেরমোড় এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে শাহীন (২৭) সহ ২-৩ জন গত ২৪ এপ্রিল রাতে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মাঠের মধ্যে গণধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ধর্ষিতাকে তারা শারীরিক নির্যাতন ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুনের ছ্যাকা এবং মুখের ভেতর এসিড জাতীয় পদার্থ ঢেলে দিলে ধর্ষিতা জ্ঞান হারায়। পরে ধর্ষক শাহীন ও তার সঙ্গীরা ধর্ষিতা বীথিকে নিয়ে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় বীথিকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করে। ধর্ষিতার জ্ঞান ফিরে পেলে বাড়ির লোকজনকে সে লৌহমর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়।
এ ঘটনার দু’দিন পর ২৬ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে সে মারা যায়। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় নিহতের পিতা আইয়ুব খা অভিযোগ দিলে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। এরপর ১২ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় নিহতের পরিবারের লোকজন চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।
এদিকে থানার অভিযোগ তুলে নিতে নিহতের বাবাকে ধর্ষক শাহীনসহ তার সঙ্গীরা বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিচ্ছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক খসরু জানান, ঘটনার সাথে জড়িত শাহীনসহ তার সঙ্গীরা ঘটনার পরপরই এলাকা থেকে পালিয়েছে। তাদের গ্রেফতার অভিযান চলমান আছে।
উল্লেখ্য নিহত বীথির সাথে শাহীনের বিয়ে হলে একবছর পূর্বে যৌতুক না পেয়ে তাকে ডিভোর্স দেয় শাহীন। এনিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। পূর্ব পরিচয় ও সাবেক স্বামীর সূত্র ধরে প্রতিশোধ নিতে মোবাইল ফোনে শাহীন বীথির সাথে সম্পর্ক করে এবং ২৪ এপ্রিল রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষনের পর পাশবিক নির্যাতন করে।