কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের রিফায়েতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুসনি আরার, বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ৭লক্ষ ৩৬ হাজার ৯ শত ৩৭ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ করছে বিদ্যালয় পরিচালনায় ম্যানিজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য ও সভাপতি।
তারা জনান, আমরা নির্বাচিত হওয়ার আগে বিদ্যালয়ে অনেক অনিয়ম হয়েছে। তবে আমরা নির্বাচিত হয়েছি, নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীকে কথা দিয়ে ছিলাম আমরা নির্বাচিত হলে বিদ্যালয় থেকে সব অনিয়নম দূর্নিতী দুর করবো। আমরা কোন অন্যায় করবোনা, কাউকে কোন অন্যায় করতে দিবো না।
কিন্তু প্রধান শিক্ষক হুসনি আরা বিদ্যালয়ের সকল কাজ নিজে করেন আমাদের না জানিয়ে সকল অর্থ নিজের মত করে তুলে এবং নিজের মত করে খরচ করেন। পরে বিষয়টি ম্যানিজিং কমিটির নির্বাচিত সভাপতি ফারুক আলম পান্না সাহেবের নজরে আসে। তিনি বিষয়টা সকল কে জানান এবং বোঝান কিন্তু প্রধান শিক্ষক হুসনি য়ারা, সকল হিসাব দিতে ব্যর্থ হন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালণার ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ফারুক আলম পান্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি ২০১৯ সালের বিদ্যালয়ের কোন আই ব্যয় হিসাব আমাকে দেন নাই এবং সকল ব্যয় তিনি নিজে করেছে। এবং ৭লক্ষ ৩৬ হাজার ৯ শত ৩৭ টাকার কোন হিসাব সে আমাকে দিতে পারেন নাই। আমি ৪ সদস্য বিশিষ্ট অর্থ কমিটি করে দিয়ে ছিলাম। তাদের দেওয়া রিপোট এবং প্রধান শিক্ষক এর কার্যক্রমের সাথে কোন মিল নাই। আমি ছোট থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আমি কোন দূর্নিতী নিজে করবো না, আমার জানতে কাউকে দূর্নিতী করতে দিবনা। আমার প্রশ্ন হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি হয় দূর্নিতীর আতুর ঘর তাহলে কি ভিবে সেই দেশ দূর্নিতী মুক্তহবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে অনুসন্ধানে গেলে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক দেখে প্রথমে তার স্বামীকে ফোন দেন তাড়াতাড়ি স্কুলে এসো সাংবাদিক এসেছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন যায়গাতে ফোন দিতে থাকে প্রায় ৩০ মিনিট পর তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষক এর কাছে জানতে চান, আপনা বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের, ৭লক্ষ ৩৬ হাজার ৯ শত ৩৭ টাকার আত্মসৎ এর অভিযোগ করছে ম্যানিজিং কমিটি এ বিষয়ে আপনার বক্তব্যো কি?
তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার মতামত- রাশেদ মাহাম্মুদ খান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যে ভাবে চালিয়েছে সে ভাবেই আমাকে চালাতে চাইছে সহকারী প্রধান শিক্ষক জোর করে আমার কাছ থেকে ভাউচারে টাকা নিয়েছে সেই কারনে আমি হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছি।
এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক রাসেদ মাহাম্মুদ মুঠোফোন জানান, এটা কি করে হয় তিনি প্রধান শিক্ষক তাকে জোর করবো আমরা, এটা কি বলছেন।