কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ার গড়াই নদীর পাড় এলাকায় তিন দিনব্যাপী ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেছেন আনুমানিক ৩ লক্ষ মুসল্লি।
ইজতেমায় যোগদানকারী কুষ্টিয়ার মুসল্লি ছাড়াও আশেপাশের জেলা উপজেলা ও শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখ লাখ মুসল্লি এ বৃহত জুমার নামাজে অংশ নেন।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জুমার জামাত শুরু হয়। জুম্মার নামাজে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি হযরত মাওলানা হফেজ মোহাম্মদ জোবায়ের আহমেদ সাহেব । এদিকে জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে। ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাও জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মুল তাবু ছাপিয়ে হাজার হাজার মুসল্লি খোলা আকাশের নিচে মাদুর, পাটি, খবরের কাগজ, পলিথিন এবং জায়নামাজ বিছিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন।
আজ শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বৃহৎ ধর্মীয় মহাসম্মেলন। সকাল ১০টার পর এ আখেরি মোনাজাত শুরু হবে বলে আয়োজকদের সুত্রে জানা গেছে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি হযরত মাওলানা হফেজ মোহাম্মদ জোবায়ের আহমেদ সাহেব। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ৩ দিনব্যাপী এ বিশাল ইজতেমা শুরু হয়। জুমার নামাজের আগে বয়ান তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা। বয়ানে তারা বলেন, দাওয়াতি জিন্দেগির মাধ্যমেই আমলি জিন্দেগি হাসিল করতে হবে। আখেরাতের কামিয়াবিও দ্বীনের মেহেনত ছাড়া হাসিল করা সম্ভব নয়।
এদিকে ইজতেমায় জুমার নামাজে অংশ নেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া সদর আসনের সাংসদ সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফসহ বিভিন্ন ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক দলের নেতা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।