কুষ্টিয়া কুমারখালীতে নব বধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবার পরিবারের অভিযোগ, নববধূকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের উত্তর মুলগ্রামে। নিহত নববধূর বাবা রিকু পারভেজ একই উপজেলার কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নিহত নববধূর পিতা বলেন, তার মেয়ে ঈষিতা (১৯) কুমারখালী সরকারী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিল। পড়াকালীন সময়ে একই বিভাগের রাকিবুল ইসলাম (২০) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাকিবুল উত্তর মুলগ্রামের গাফ্ফার মোল্লার ছেলে। অনেকটা ছেলে পক্ষের জোড়াজুড়িতে তাদেরকে পারিবারিক ভাবে ৭ মাস আগে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ১ মাস যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ।
বৃহস্পতিবার মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে তার শ্বশুড়বাড়ীর নির্যাতনের কথা বলে এবং শ্বশুড়বাড়ী থেকে তাকে নিয়ে আসতে বলে । ১৯ জুন শুক্রবার নববধূর মা শ্বশুড়বাড়ী থেকে মেয়েকে আনতে গেলে মেয়ের শ্বশুর গাফফার মোল্লাা ২/৩ দিন পর মেয়েকে দিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন।
২০ জুন সকালে রাকিবুল ঈষিতাকে দাম্পত্য কলহের জেরে মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে নববধূ ঈশিতা আমার বাড়িতে চলে আসার জন্য পাথরবাড়িয়া কবরস্থান পর্যন্ত চলে আসে। কিন্তু রাকিবুল ও তার ভাই শরিফুল পথের মাঝ থেকে তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। তাকে পুনরায় শারীরিক নির্যাতন করে এবং হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
রাকিবুলের ভাই শরিফুল ঈষিতাকে মেরে ফেলার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, ঈষিতা ১১ টার দিকে আত্মহত্যা করে। সে সময় আমি মাঠে কাজ করছিলাম। বাড়ি থেকে সংবাদ আসলে গিয়ে দেখি এলাকার অনেকেই এসে ভিড় করছে এবং ভেতরে গিয়ে দেখতে পাই নববধূ ঈষিতা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আড়ার সাথে ঝুলে আছে।
তবে এলাকাবাসী জানান নববধূর মৃত্যুর পর থেকে রাকিবুল ও শরিফুলসহ তাদের পরিবার আত্মগোপনে আছে। তবে ২২ জুন তারা দুইভাই বাড়িতে ফিরেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত ইউডি মামলা হয়েছে।
Discussion about this post