কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে মাধপুর ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উজানগ্রাম ইউনিয়নের মাধপুর গ্রামের ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বাবদ
২০১৬-২০১৭ ইং অর্থবছরের টি,আর প্রকল্পের ১ লক্ষ ৬ হাজার ৪শত ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা বরাদ্দ পাই। এই বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত প্রাচীর নির্মাণের কোন নমুনা পাওয়া যায়নি সরজমিনে গিয়ে। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিতভাবে পড়ে আছে এই ঈদগাহটি। এই ঈদগাহে এখন পর্যন্ত কোন কাজই করা হয়নি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ তো দূরের কথা। ঈদগাহের টাকা আত্মসাৎকারী মেম্বারের বিচারের দাবিও জানান তারা।
পিআইসি কমিটির সভাপতি ছিলেন রায়হান আলী, সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ, সদস্য নাজমুল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন ও রাশিদুল ইসলাম। কিন্তু রায়হান আলী জানে না যে ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের পিআইসি কমিটির তিনি সভাপতি। রায়হান আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পিআইসি কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মিলন হোসেন মেম্বার নিজেই। কাজ না করে টাকা তোলার বিষয়ে আমি অবগত নই।
এ বিষয়ে উজানগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নং ইউপি সদস্য মিলন হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কাজ না করলে টাকাটা তো আমার চেহারা দেখে দেয়নি? কাজ করেছি কিন্তু ওই ঈদগাহের না পাশে একটি মসজিদ আছে সেই মসজিদের। এ বিষয়ে উজানগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাবুবিন ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাজ না করলে পিয়াও তদন্ত করে কিভাবে টাকা দিল?
সদর পিআইও এর মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়নার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।