কুষ্টিয়ায় একটি আবাসিক হোটেলে শয্যা বিশ্বাস (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সৌরভ সরকার জয় নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের মজমপুর এলাকার রাতুল আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। শয্যা বিশ্বাস কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের উদায় বিশ্বাসের মেয়ে ও খোকসা সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার রাতুল আবাসিক হোটেলে আসেন তারা। সেখানেই দুজন অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ করেই শয্যা বিশ্বাস অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রাতুল আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার রিপন বলেন, রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে উঠেছিলেন।
তারা হোটেলেই চতুর্থতলার ২৯ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে শয্যা বিশ্বাস নামে ওই নারী অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ইকবাল হাসান বলেন, “রাত পৌনে ৮টার দিকে তরুণীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। রোগীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং মুখে ফেনা উঠছিল। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ অক্সিজেন দেওয়া হয়।
“রোগী অচেতন থাকায় কোনো কথা বলতে পারেননি এবং রোগীর সঙ্গে আসা ব্যক্তিও অসুস্থতার প্রকৃত কারণ বলেননি।”
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা উদায় বিশ্বাস বলেন, রোববার সকালে শয্যা বিশ্বাস কলেজ যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়া হয়। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে শয্যার মৃত্যুর খবর আসে। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এ ব্যাপারে থানায় আমরা মামলা দায়ের করব।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, আবাসিক হোটেলে ওই কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা শুনে পুলিশ সেখানে যায়। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় হোটেলে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে থাকা সৌরভ নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ওই যুবকের দাবি, তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী।
ওসি আরও বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি নিহতের পরিবারের লোকজন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া করা হবে।