কুষ্টিয়া বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট কদমতলা গোরস্থানের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টিআর প্রজেক্টের ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার খালেদ হোসেন হেলালের বিরুদ্ধে।
এই আত্মসাৎ করার বিষয় নিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে একটি সালিশি বৈঠক হয়। সালিশি বৈঠকে টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত সেই টাকা ফেরত দেয়নি বলে জানিয়েছেন কবুর হাট কদমতলা গোরস্থানের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের।
কবুরহাট কদমতলা গোরস্থানের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে কবুর হাট কদমতলা গোস্থানের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেন, কাজের অনিয়ম হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করার। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে দু’একদিনের মধ্যেই এই টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা আছে।
এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গোরস্থানেয টাকা আত্মসাতের দায়ে ওই মেম্বারকে গন রোষানলে পড়তে হয়েছে। মেম্বার নিজেও একজন মাদকসেবী। আর মেম্বর শুধু মাদক সেবীই নন এলাকার বিভিন্ন মাদক বিক্রেতার সাথেও তার রয়েছে ভালো সক্ষতা। ইতি পূর্বে মাদক সেবনের দায়ে কয়েক বার হাজত খেটেছেন এই মেম্বর। এই মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার খালেদ হোসেন হেলালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাজ হবে। যারা অভিযোগ করছে তারা এই গোরস্থানের কেউ না। আমি নিজে একটি কমিটি করেছে এই কমিটির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কাজ না করে টাকা উত্তোলন করলেন কিভাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বটতল ইউপি চেয়ারম্যান মোমিন মন্ডলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, টিআর প্রজেক্ট এর ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয়ে শুনেছি। এ বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি রকিবুল হক টিক্কার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বটতৈল ইউনিয়ন থেকে টিআর প্রজেক্টে বরাদ্দ দেয়া ৪০ হাজার টাকা তুলতে খরচ বাবদ গোরস্তান কমিটির কাছে আরো ১০ হাজার টাকা নিয়েছে মেম্বার। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় মেম্বার খালেদ হোসেন হেলালের বড় ভাই আওলাদ হোসেন দুলাল মারধর করেছে মেম্বারকে।
টাকা আত্মসাতের বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া শুকায়নার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।