কুষ্টিয়া চোরহাস ফুলতলা এলাকায় একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কয়েকটি রুম ভাড়া নিয়ে তৈরি করেছে মৃত্যুকূপ। যেই মৃত্যুকূপের মালিক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মোঃ মোতাহারুল ইসলাম। এই মৃত্যু কূপের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে কিছু দালাল। আর ওইসব দালালদের মাধ্যমেই গ্রামের কিছু অসহায় দরিদ্র মানুষ পা দিচ্ছে এই মৃত্যুকূপে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিক নামক মৃত্যুকূপের নিচেই রাখা রয়েছে এক নিথর দেহ। পাশেই কান্নাকাটি করছে কিছু মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই দেহটা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি শাহ্পাড়া এলাকার আমিরুল ইসলামের স্ত্রী সাথে। বয়স তার ৩৮ বছর। এক সন্তানের জননী তিনি।
সালমার বড়বোন মর্জিনা জানান, আমার বোনের জরায়ু নাড়িতে সমস্যা থাকায় ডাক্তার মোতাহারুল ইসলাম এর নিকট চিকিৎসা নিত। তারি পরামর্শ আজ বিকেল তিনটাই সালমাকে ডাক্তার মোতাহারুল ইসলাম এর এই ক্লিনিকে নিয়ে আসি। সেখানে তড়িঘড়ি করে ডাক্তার মোতাহারুল ইসলাম অপারেশন করার কথা বলে। ১২ হাজার টাকা কোনটাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাই ডাক্তার মোতাহারুল ইসলাম। অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর কিছুক্ষণ পরেই লাশ নিয়ে বেরিয়ে আসে ডাক্তার। লাশ কোনরকম বের করে দিই সটকে পড়ে ক্লিনিকের মালিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এলাকার স্থানীয়রা জানায় এর আগেও বেশ কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছে এই ক্লিনিকে। এটা কোন ক্লিনিক কেউই তার নাম বলতে পারেনি। কারণ ক্লিনিকের বাইরে কোন নাম দেয়া সাইনবোর্ড নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া গেল ডাক্তার মোতাহারুল ইসলাম এর একটি ভিজিটিং কার্ড। সেখানে ঠিকানা হিসেবে দেয়া আছে শাপলা হাসপাতাল/মোতাহার ক্লিনিক, ফুলতলা, চৌড়হাস কুষ্টিয়া। ওই ভিজিটিং কার্ডের দুইটি নাম্বার থাকলেও দুটি নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যায়।
এই সব অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার মোতাহারুল ইসলাম এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।