কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালুয়া বাজারে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছে এক কাঠ ব্যবসায়ী। তিন রাউন্ড গুলি বর্ষনের অভিযোগ!
হামলার শিকার জাহান জানান, গতকাল স কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালুয়া বাজারে আক্তারের চায়ের দোকানে চা খেতে যাই আমরা ৪ বন্ধু। এমন সময় একাধিক মামলার আসামি বাবলুর নেতৃত্বে আলতাফ, লিটন, আনার, রিয়া, রফিক, পান্না সহ ১০/১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে আমাদের উপর চড়াও হয়। তারা আমার কপালে বন্দুকের বাট দিয়ে জোরালো আঘাত করে। তখন আমার কপাল ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। স্থানীয়রা ছুটে আসলে ওই সন্ত্রাসীরা তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
জাহান আরো জানান, আমি এক জন কাঠ ব্যবসায়ী। আমার চাচাতো ভাই শিলাইদহ কুঠিবাড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজ করছে। আর বাবলু প্রয় আমার ভাইয়ের কাছে চাঁদার দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
হামলার শিকার জাহান কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালুয়া গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে।
জাহানের সাথে থাকা শিপলু জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সময় কালুয়া বাজারে মুন্সীর দোকানের পাশে চা খাওয়া সময় বাবলু এসে জিজ্ঞাসা করে শালারা চাঁদা না দিয়ে বাজারে এসেছিস কেন? এই বলে বাবলুর নেতৃত্বে ১০/১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে মারধর শুরু করে। এসময় গুরুতরভাবে আহত হয় জাহান। আমাকে কিলঘুষি মারে এবং অস্ত্র উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। বন্দুকের বাট দিয়ে জাহানের কপালে আঘাত করে। কপালে ৫ টি শেলাই দেওয়া হয়েছে। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেই জাহান। শিলাইদহ কুঠিবাড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজের চাঁদা না দেয়ায় এই হামলা চালিয়েছে বলে জানান শিপন।
এই সন্ত্রাসীদের পরিচয় নিশ্চিত করেন শিপন, সে জানান বাবলু (৫০) কয়া ইউনিয়নের কালুয়া গ্রামের মৃত মদন শেখ ছেলে, আলতাব (৩৫) একই এলাকার এগলা সর্দার, লিটন (৩২) একই এলাকার পেনুর ছেলে, আনার (৪০) একই এলাকার হারেজের ছেলে, রিয়া (৩৭) একই এলাকার ফজল শেখের ছেলে, রফিক (৪০) একই এলাকার আলা ব্যাপারির ছেলে এবং পান্না (৫০) একই এলাকার তুজাম ব্যাপারির ছেলে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলেও জানা গেছে।