কুষ্টিয়ায় করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের ৭৩ শতাংশই চলতি জুন মাসের ১৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল শনিবার ২০ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১১ জন কুষ্টিয়া শহরের বাসিন্দা। জেলায় মোট আক্রান্ত ২২২ জন।
জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, গত ২২ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন। ঈদের আগে ২৪ মে পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিলেন ৩৫ জন। কিন্তু ঈদের পর রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। চলতি মাসের ১৩ দিনে গড়ে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই ১৩ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৬২ জন, যা মোট আক্রান্তের ৭৩ শতাংশ। মারা গেছেন ১ জন।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে শনিবার ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে কুষ্টিয়া সর উপজেলার ১১জন, কুমারখালীর ২ জন, ভেড়ামারার ২ জন, মিরপুরের ২ জন, খোকসার ১ জন ও দৌলতপুর উপজেলার ২ জন। সদরের ১১ জনের বাড়িই কুষ্টিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
আজ রবিবার মোট ১৮৮ টি স্যাম্পলের (কুষ্টিয়া ৪৩, মেহেরপুর ১৮, ঝিনাইদহ ৪৩, চুয়াডাঙ্গা ৮৪) মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় ২ জন নতুন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।
ঈদের পর রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা মনে করছেন, ঈদে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ গ্রামে এসেছিলেন। তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাফেরা করেছেন। এতেই রোগী বেড়েছে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। রোগী আক্রান্তের হার কমাতে হলে আগে নিজেকে সচেতন হতে হবে।