কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর রেলগেট থেকে ১শ গজ দূরে (পশ্চিমে) এক সময়কার মৃত নিয়ামতের তারির হাঁটে এখন চলছে গাঁজার আবাদ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন জানান, বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া দাদাপুর সড়কের মক্কা-মদিনা হোটেলের পেছনে রেলের পাশ থেকে একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেন । জায়গাটা পরিত্যক্ত হওয়ায় সেখান থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এই গাঁজার গাছ কে বা কাহারা লাগিয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান।
এদিকে ওই এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাদিয়া হোটেলের মালিক কুষ্টিয়া পশ্চিম মজমপুরের মৃত নেয়ামতের কারখানা ছিল এটি। এই রুমটি এক সময় মৃত নিয়ামতের তাড়ির হাট বলে পরিচিত ছিল। নেয়ামত মারা যাওয়ার পর তার ছেলেরা ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। সেই কারখানার ভেতরে এখন মক্কা মদিনা হোটেলের কর্মচারী বিল্লাল থাকেন। ওই কারখানার ঢোকার জন্য একটি টিনের দরজা রয়েছে। দরজাটি সবসময় বন্ধ থাকে। পাশের মক্কা মদিনা হোটেলের ভেতর দিয়ে সাদিয়া হোটেলের ওই কারখানায় প্রবেশ করা যায়। সাদিয়া হোটেলের ওই কারখানায় ঢোকার মূল গেটটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সেই গেটের পাশেই লাগানো হয়েছে গাঁজার গাছ।
সেখানে,কারখানাটির ভেতরে প্রচুর পরিমাণ ফেনসিডিলের খালি বোতলে দেখা মেলে। বিল্লালের দাবি ওই রুমটি পরিত্যক্ত থাকায় সে ১৫ দিন আগে একটি খাট বসিয়ে ওই রুমে বসবাস করছে। সে তাদের কারখানার মধ্যে দিয়ে যাওয়া-আসা করে। তাই মূল গেটে গাঁজার গাছ রয়েছে সেটা সে দেখতে পাইনি!
এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এই রুমটি এক সময় মৃত নিয়ামতের তারির হাট বলে পরিচিত ছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।