কুষ্টিয়ায় এখন অবৈধ নসিমন-করিমন ও অটোর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ পথচারীরা। কুষ্টিয়া শহরের প্রধান সড়কগুলো এখন অটো ও অবৈধ নছিমন-করিমনের দখলে। এই অবৈধ যান এর কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
মহাসড়কে অবৈধ নছিমন করিমন ও ট্রলি ট্রাফিকের সামনেই অবাধে চলাফেরা করছে। এদেরকে না আটকিয়ে বৈধ যানবাহনের সব কাগজপত্র থাকর সত্ত্বেও কোনো না কোনো অজুহাত দেখিয়ে মামলা দিচ্ছে।
সরকার নির্দেশে গত ৫ আগষ্ট থেকে এক সপ্তা ব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ পালন শুরু হয়েছে। এতে কুষ্টিয়াতে শুধুমাত্র মোটরসাইকেল মামলা দেয়া হয়েছে কিন্তু অবৈধ নছিমন-করিমন ও ট্রলি চালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে জানা যায়।
আর কুষ্টিয়া শহরের প্রধান সড়ক এন এস রোড এখন দখলে রয়েছে অটোচালকদের। কোন নিয়ম শৃঙ্খলা তোয়াক্কা করে না তারা। তিন চারটি লাইন করে কে কার আগে যেতে পারে এমন কম্পিটিশন চালায় তারা। এই কম্পিটিশনের কারণে প্রতিনিয়ত এই সড়ক টিকতে যানজট যেন সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যেখানে সেখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করান তারা। মাঝে মাঝে দেখা যায় হঠাৎ করেই কোন দিকে না তাকিয়ে রাস্তার মাঝখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলছে এই অটোচালকরা। এর কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে এই সড়কটিতে ছোট বড় দুর্ঘটনা। পুরোপুরি নীরব ভূমিকায় পৌর কর্তৃপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই অটো শুধু শহরের রাস্তায় নই মহাসড়কও দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে।
থ্রি হুইলার কোন যান মহাসড়ককে উঠতে পারবে না মহামান্য আদালতের এমন নির্দেশনা কে তোয়াক্কা করছে না অটো, অবৈধ নছিমন-করিমন ও ট্রলির চালকরা। এ বিষয়ে এক নসিমন ড্রাইভার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, কুষ্টিয়ায় মহাসড়কে গাড়ি চালাতে হলে তাদের তিন ধাপে তাকে ১শ টাকা চাঁদা দিতে হয়। পৌর টোল বাবদ ২০ টাকা, পুলিশকে ২০ টাকা ও দালালকে দিতে হয় ৬০ টাকা।
কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান বিকাশ বলেন, এই অবৈধ নসিমন-করিমন ও অটোর যন্ত্রণায় রাস্তায় বেরোনোর উপায় নেই। এরা রাস্তায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাই।
কুষ্টিয়া নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি এম জাহিদ জানান, কুষ্টিয়ায় অবৈধ নছিমন-করিমন ও ট্রলির দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। এদের কারণেই নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ইতিপূর্বে এই গাড়ি বন্ধের জন্য মানববন্ধন করা হয়েছে তবুও প্রশাসনের টনক নড়ছে না। আর এই অবৈধ নছিমন করিমন এর কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
তিনি আরো বলেন, অবৈধ নছিমন-করিমন প্রস্তুতকারক কারখানা গুলো অতিসত্বর বন্ধ করে না দিলে একসময় এরাই প্রশাসনের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে।
সপ্তাহব্যাপী যেই ট্রাফিক সপ্তাহ ঘোষণা করেছে এতে শুধু মোটরসাইকেলের অভিযান চলছে কিনা জানতে চাইলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইমরান জানান, গতকালকেও (সোমবার) পাঁচটি ড্রাম ট্রাকে মামলা দিয়েছে আজ সকাল থেকে (মঙ্গলবার) দুইটি ড্রাম ট্রাকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু নসিমন-করিমন সামনে না পড়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া সম্ভব হয়নি।