১৯৭৬ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত কু্ষ্টিয়া জেলা কুমারখালী উপজেলা হাসপাতালটি কুমারখালীবসীর একমাত্র চিকিত্সার অবলম্বন হয়ে দাড়িয়েছে।
ঘন বসতি এ জনবহুল কু্ষ্টিয়া জেলা কুমারখালী উপজেলায় সরকারি হিসাবে ৩.৪১,২৫৫ জন লোক বাস করে। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লোকের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত আছে মাত্র কাগজে ৬ জন চিকিৎসক বাস্তবে ৩/৪ জন।
২০০৮ ইং সালে সরকারী এক প্রঞ্জাপনে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। শুধুমাত্র ভর্তি রুগিদের খাবার ছাড়া আর কিছুই এ হাসপতালে জোটেনি।
বর্তমান চিত্র এতোটাই নাজুক যে ৩১ শষ্যা হাসপাতালের যে জনবল ছিল তার একের তিন ভাগ জনবল এ হাসপতালে নাই।
১৬ জন ষ্টাফ নার্স এব মধ্যে মাত্র ৭ জন নার্স আছে। একটি মাত্র রুগী পরিবহনের গাড়ী থাকলেও গত একবছর যাবত্ গাড়ীর জ্বালানী সরবরাহ করা হচ্ছেনা । রুগীদের প্রয়জনে পকেটের টাকায় জ্বালানী ক্রয় করে রুগী একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তর করা হয়। জানা গেছে ২০১৪- ১৫ ইং অর্থবছরের জ্বালানী বাবদ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা বাকিঁ থাকায় পাম্প মালিক জ্বালানী দিচ্ছে না।
এ হাসপতালে প্রতিদিন প্রায় ২ শত থেকে তিন শত রুগী বর্হিঃ বিভাগে ডাক্তারদের দেখাতে আসে অথছ এমবিবিএস চিকিৎসক দেখাতে পারছে না ।অন্তঃ বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ জন রুগী ভর্তি থাকে। সকাল হলেই ডাক্তারের চেম্বারে ৩০ – ৪০ জনের রুগীর লাইন পড়ে যায় অথছ ডাক্তার সল্পতা এবং ডাক্তার না থাকার কারনে অনেক রুগীরা চিকিত্সা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কুমারখালী উপজেলার একমাত্র সরকারী হাসপাতালটি পুর্নাঙ্গ ৫০ শয্যার জনবল ও অবকাঠামো সুযোগ সুবিধা দিয়ে এ উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ জনগোনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি এলাকাবাসী বিশেষ আহব্বান করছে।