প্রাচ্যের বাতিঘর কুমারখালী বালিকা বিদ্যালয়ের ১৫৫ বছর উৎযাপন উপলক্ষে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল আজ বুধবার। অবিভক্ত বাংলার নারী শিক্ষার একমাত্র অগ্রপথিক কুমারখালী বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এই জনপথের মানুষের।
গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদার এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। এই বিদ্যালয়ের হাজারো জ্ঞানের প্রদীপ জ্বলে আছে এখনো কীর্তিমান মহীয়সী নারী। অনেক উপাধিতে ভূষিত হয়েছিল অনেকেই এরই মাঝে। কেউবা রয়েছেন রত্নগর্ভা মা, কেউবা জয়ীতা আবার কেউবা শুধু মা জননী নয় রাষ্ট্রের মহামূল্যবান সম্পদের অধিকারী হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
১৫৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছিল বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা অতিথি বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন কর্মসূচী। দীর্ঘদিনের চেনা নিজ হাতে গড়া বিদ্যালয়ে এসে অনেকে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। আবার কেউবা নিজের জীবন আদর্শের সাথে স্মৃতিচারণে অনেক দুঃখগাথা ভেসে ওঠে নিজেদের বিদ্যালয়কে নিয়ে।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান ও কুষ্টিয়া -৪ আসনের সংসদ আব্দুর রউফ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিনুজ্জামান, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী সাহিত্যিক কবি সাংবাদিক ও আপামর এলাকার জনসাধারণ।