কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামের মতিয়ার রহমান, পিতা-জলিল এর বিরুদ্ধে মসজিদ ও ঈদগাহ উন্নয়নের সরকারী অনুদানের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সুত্রে যানাযায়, ভালুকা গ্রামের মতিয়ার রহমান গত রোজার ঈদের আগে বল্লভপুর গ্রামের মসজিদ ও ঈদগাহ উন্নয়নের কথা বলে এমপি মহদ্বয়ের নিকট হতে ৩০ হাজার টাকা অনুদান নিয়ে আসে। পরবর্তিতে মসজিদ ও ঈদগাহের পিছোনে এক টাকাও ব্যয় না করে সম্পূর্ন টাকা নিজেই আত্নসাত করে ফেলে।
এ বিষয়ে বল্লভপুর গ্রামের আবু সালেক, পিতা-গনজেল হোসেন বলেন, আমরা গত দশদিন আগে জানতে পারি আমাদের গ্রামের মসজিদ ও ঈদগাহ উন্নয়নের জন্য আমাদের এমপি মহদ্বয়ের মাধ্যমে মতিয়ারের নিকট ৩০ হাজার টাকা এসেছে। টাকার ব্যাপারে তাতক্ষনিক মতিয়ারের নিকট জানতে চাইলে তিনি ৩০ হাজার টাকার কথা অকপটে শিকার করেন।
একই গ্রামের সোহেল জোয়ার্দ্দার, পিতা- মতিয়ার জোয়ার্দ্দার বলেন, মতিয়ারের নিকট টাকা এসেছে জানার পর আমরা গ্রামের কতিপয় কিছু সাধারন মানুষ মিলে মতিয়ার রহমানকে ডেকে পাঠালে তার জবাবে মতিয়ার বলেন, আমি টাকা খরচ করে ফেলেছি। আমি ওখানে যেতে পারব না আপনাদের ঈদগাহ ও মসজিদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাছে শুনলেই সবকিছু জানতে পারবেন।
ভালুকা ও চৌরঙ্গী এলাকার সাধারন মানুষ বলছে, আমাদের এলাকার যতরকম কুকর্ম সংগঠিত হয়ে থাকে তার নেপথ্যে জড়িয়ে থাকেন এই অসৎ চরিত্রের মানুষ মতিয়ার। এলাকাবাসী আরো জানায়, এই মতিয়ারের কু-কর্মের সাথে জরিত আছে চৌরঙ্গী এলাকার বেশ কয়েকজন মানুষ রুপি শয়তান। এরা সাধারন মানুষকে বিপদে ফেলে চাপ দিয়ে টাকা আদায় করে থাকে। এ ব্যাপারে মতিয়ারের কাছে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে দলবল নির্বিশেষে সাধারন এলাকাবাসী কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মহদ্বয়ের আশুদৃষ্টি কামনা করছে।