কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে অপহৃত আট বছরের শিশু মারুফকে রাজধানী ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শ্যামপুর মডেল থানার পেছনের একটি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে মারুফকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অপহরণকারী সাইদুর রহমান (৩৮) কে আটক করে পুলিশ। পরে রাতেই তাদেরকে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় আনা হয়। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক রাজিব হাসান শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মারুফ শেখ কুমারখালী উপজেলার কাসিমপুর গ্রামের আরিফুল শেখের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। এর আগে গত ১৭ আগস্ট (শুক্রবার) বিকেলে বাড়ির সামনে রাস্তায় খেলার সময় মারুফকে আপহরণ করে সাইদুর রহমান। ঘটনার দিন রাতেই অপহৃত মারুফের মা আনোয়ারা বেগম কুমারখালী থানায় সাইদুর রহমানকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, আনোয়ারা বেগমের (মারুফের মা) খালাতো বোন মুক্তা বেগমের সাথে বিয়ে হয়েছিল সাইদুর রহমানের। সংসারে বনিবনা না হওয়ায় পাঁচ মাস আগে সাইদুর রহমানকে তালাক দিয়ে আরেকটি বিয়ে করে মুক্তা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ আগস্ট (শুক্রবার) বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে মারুফকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সাইদুর রহমান। এরপর মুক্তা বেগমের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিয়ে মারুফকে অপহরণের কথা স্বীকার করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
মারুফের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ঘটনার দিন আমি কুমারখালী থানায় সাইদুর রহমানকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করি। পরবর্তীতে পুলিশ ফোনের সুত্র ধরে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে। তিনি বলেন, আমার ছেলে আমার কাছে আছে। এখন আমি থানায় আছি।
কুমারখালী থানার উপ পরিদর্শক রাজিব হাসান জানান, অপহরণকারীর মুঠোফোনের লোকেশন ধরে শুক্রবার রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর মডেল থানার পেছনের একটি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে মারুফকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে অপহরণকারী সাইদুর রহমানকে আটক করা হয়। তবে এখন এর বেশি তথ্য দিতে পারবো না। ওসি স্যারের নিষেধ আছে। প্রেস বিফিং করে তথ্য জানানো হবে।
এ ব্যাপারে জানতে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল খালেকের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।