কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় প্রায় পাঁচ লক্ষ লোকের বাস। উপজেলা বাসীর স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম মাধ্যম কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা পর্যায়ে বসবাসরত জনগণের ৭০ ভাগই নিম্নমধ্যবিত্ত পর্যায়ের। যে কারণে চিকিৎসাজনিত প্রয়োজনে দরিদ্র রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই আসতে হয়। কিন্তু কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকটের কারণে রোগীরা প্রতিনিয়ত আশাপ্রদ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অপরদিকে হত দরিদ্র রোগীদের সাধারণ অপারেশন এর ক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় হতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক মুখী। কিন্তু প্রাইভেট ক্লিনিকের চাহিদা মেটাতে গিয়ে সাধারণত হতদরিদ্র রোগীরা সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ রোগীদের ভাষ্য অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন করালে যেখানে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় কমপ্লিট করা সম্ভব সেই ক্ষেত্রে প্রাইভেট ক্লিনিকে ওই একই অপারেশন করাতে গেলে সব মিলিয়ে প্রায় ২৫/৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র এর প্রতিনিধি প্যানেল মেয়র এসএম রফিক জানান ইতিপূর্বে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আকুল উদ্দিনের সাথে পৌর মেয়রের ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আলোচনান্তে অপারেশন চালু করার কথা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে কুমারখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতি মাসে অপারেশন করানোর জন্য হত দরিদ্র রোগীদের সাহাযার্থ্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেবার কথা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি এখনও কার্যকর হয়নি।
কুমারখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জুলফিকার আলী হিরো বলেন আমরা কুমারখালী বাসী এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার সাহাযার্থ্য যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছি।
এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আকুল উদ্দিন বলেন সার্জন, এনেসথেসিয়া ডাক্তার ও গাইনি ডাক্তারের পদ থাকলেও কুমারখালীতে সব কয়টি পদ শূন্য যে কারণে ইচ্ছা থাকলেও আপাতত অপারেশন করানো সম্ভব না।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন রওশন আরা বেগম এর নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, লোকাল রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকরা মিলে ডাক্তার মোঃ আকুল উদ্দিনের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে অপারেশন এর ব্যবস্থা করলে আমার কোন আপত্তি নেই।
লিপু খন্দকার, কুমারখালী