কু্ষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলা বড় মাজগ্রাম (খালপাড়া) গ্রামের উজির শেখ’র ছেলে ফরিদ শেখ (২৫) এর স্ত্রী স্বর্না খাতুন (২১) বিষপান করায় তার মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ১২ই জুলাই গৃহবধু বিষপান করে। স্থানীয় ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য কুমারখালী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কু্ষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে, সেখানে চিকিৎসা অবস্থায় পর দিন গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে এবং ময়না তদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
ঘটনা সুত্রে স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন ছোট মাজগ্রাম সাজলু সর্দ্দার এর মেয়ে স্বর্না। প্রায় দেড় বছর আগে লম্পট ফরিদ শেখ’র সাথে বিয়ে হয়, গৃহবধুকে বিয়ের পর থেকে প্রায় দিন মারধর করত, চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে গেলে ঘরে বন্ধী করে রাখতো, কারো সাথে দেখা করতে দিত না।
বিষয়টি নিয়ে সাজলু সর্দ্দার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি ঢাকায় থাকেন, সে লক্ষ্য তার মেয়ের মাধ্যমে লম্পট জামাই ১ মাস দেড় মাস পর পর টাকা দাবি করলে মেয়ের সুখের জন্য বিয়ের পর থেকে শুরু করে ১লক্ষ টাকা দিয়েছে যৌতুক লোভী জামাইকে। অমানবিক অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে মৃত্যুর পথ বেচে নেয় স্বর্না। কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের স্বর্নার বাবা বলেন মেয়ের এমন সংবাদ শুনে দুরুত্ব ঢাকা থেকে এসে হাসপাতালে পৌছালে মেয়ের অবস্থা আশংকা জনক দেখে ভেঙে পড়েন, অব শেষে বিষপান করায় চিরদিনের জন্য পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে।
এদিকে স্বর্নার লাশ শশুড় বাড়ির কোন ব্যক্তি নিতে না যাওয়ায়, বাবা মেয়ের লাশ নিয়ে নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন করে। যৌতুক লোভী স্বামীর বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী ফুসে উঠেছে। এ বিষয়ে কুমারখালী থানায় গৃহবধুর বাবা অভিযোগ দিয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান দুরুত্ব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।