এস এম জামাল:
ভুলবশত: আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছি কিন্তু উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে আমার বাড়িতে এসেছে তাই আমি আমার মেয়েকে আর বিয়ে দেবো না।
এমনিভাবে মুচলেকা দিয়ে অস্টম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়।
শুক্রবার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ চরপাড়া গ্রামে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ের খবর শুনে সেখানে হাজির হন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস নাজনীন সুমনা।
এসময় তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে কিশোরীর পিতা ও মাতাকে বোঝানো হলে বাল্যবিয়ে হিসেবে নিজের মেয়েকে বিয়ে দেবে না এই মর্মে মুচলেকা দেয়।
মুচলেকায় মেয়ের বাবা আরও লেখেন আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমার মেয়ের বয়স ১৮বছর পুর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমার মেয়েক বিয়ে দিলে আইনগত যা শাস্তি হবে তাই মেনে নেবো।
কুমারখালী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস নাজনীন সুমনা বলেন, বাল্য বিয়ে শুধু পরিবারের জন্য নয় সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। একটি কিশোরী মেয়ে ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হলে তার শারীরিক সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্যহানির ঝুকি এবং মৃত্যুরও আশংকা থাকে। তাছাড়া শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হলে সেই নাগরিক অশিক্ষিত হয়ে জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। মনে রাখতে হবে সামষ্টিক উন্নতি আর নিজের উন্নতি গায়ে গায়ে জড়ানো। কেউ ইচ্ছা করলেও নিজের একান্ত বিষয়ে আইন হাতে তুলে নিতে পারেনা। সরকার জতির কলাণের জন্য যে আইন করেছে তার প্রতি সবাইকে আরো শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠতে হবে তবেই দেশ আরো উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে হাঁটবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জানাতে ই-মেইল করুন- news@kushtia24.news আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।