কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর জগন্নাথপুর গ্রামের খেজের প্রামাণিকের প্রবাসী ছেলে মোতালেবের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আরেক প্রবাসী পাংশা উপজেলার গতনপুর সুইস গেটের তুলিকে ঘরে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লিপু খন্দকার ঃ বিগত সাড়ে তিন বছর পূর্বে মোতালেব ভাগ্য পরিবর্তনের অন্বেষণে ওমান যায়। সে ওমানে শ্রমিকের কাজ করা কালীন সময়ে পাংশার মেয়ে জর্ডান থাকাকালীন অবস্থায় তার সাথে মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলতে থাকে এবং ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। তুলি দীর্ঘ কুড়ি বছর জর্ডানে অবস্থান করছে বলে জানা যায়।
গত মাসের ৯ তারিখে মোতালেব বাংলাদেশে এসে তড়িঘড়ি করে ঘরবাড়ি সংস্কারের কাজ শুরু করে এবং তার প্রথম স্ত্রীকে জানায় সে দ্বিতীয় বিয়ে করবে এতে কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি না করতে। অবশেষে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তুলি বাংলাদেশে এসে মোতালেবের সাথে তাদের বাড়িতে এসে উঠে। তুলিকে নিয়ে মোতালেবের বাড়িতে অবস্থান করার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ২৯ অক্টোবর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
মোতালেবের প্রথম স্ত্রী খালেদা খাতুন জানায় ২০০৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। এ পর্যন্ত কোনো দিনই তাদের ভিতর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে কোনো ফাটল ছিল না হঠাৎ করে তার স্বামীর এমন অন্যায় আচরণ সে কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না। আইনের আশ্রয় নেবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা শুধু সবার মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।
অপরদিকে প্রবাসী মোতালেবের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে জানায়, তার প্রথম স্ত্রীর দুইটা সন্তান মারা গেছে সে বাচ্চা দিতে অক্ষম। সে কারণেই দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোতালেব আরো জানায়, দ্বিতীয় স্ত্রীকে যদি ছেড়ে দিতেই হয় তাহলে সে আত্মহত্যা করবে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তার কাছে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। পরিষদে বিচার চাইলে অবশ্যই মোতালেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।