প্রতি সিলিপে ২০ কেজির পরিবর্তে ১৪ থেকে ১৬ কেজি চাউল পাওয়া যাচ্ছে,অর্থাৎ ৪-৫ কেজি চাউল কম দেওয়া হচ্ছে
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ৮ নং যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল আলম এর বিরুদ্ধে ভিজিএফ এর চাউল কম দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা ও যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মিজান।
সরেজমিন গেলে মিজানুর রহমান মিজান জানান, “আমি ৮-১০ জন ভুক্তভোগীর চাউল ওজন করেছে,তাতে দেখা গেছে ১৪থেকে ১৬/১৭ কেজি চাউল দিচ্ছে চেয়ারম্যান শরিফুল আলম। তিনি বলেন, ওজন না করে মনগড়া চাউল দিয়ে ভুক্তভোগীদের চাউল আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।
তিনি আরো বলেন,যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম এর জ্বালায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। টাকা ছাড়া পরিষদ থেকে কোনো সেবাই পাইনা এলাকাবাসী। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘর দেওয়ার নাম করে জন প্রতি ১০ হাজার করে টাকা নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চেয়ারম্যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কতিপয় ভুক্তভোগী বলেন, দাড়ি পাল্লায় ওজন না করে মনগড়া চাউল দিচ্ছে চেয়ারম্যান। এতে প্রতি সিলিপে ২০ কেজির পরিবর্তে ১৪ থেকে ১৬ কেজি চাউল পাওয়া যাচ্ছে,অর্থাৎ ৪-৫ কেজি চাউল কম দেওয়া হচ্ছে। তারা আরো বলেন, ট্যাগ অফিসার হিসেবে কুমারখালী বিআরডিবি অফিসার মোঃ আব্দুর রশিদ থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যায় না তাকে চাউল বিতরন স্থানে।
এবিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহীনুজ্জামান বলেন,চাউল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, ভুক্তভোগীরা চাউল ২০ কেজি ওজন করে নিয়ে যাক।
এবিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কাউকে চাল কম দেয়নি। আমার প্রতিপক্ষরা এ গুজব ছড়াচ্ছে। চাল আরো দেওয়া হবে। আপনাদের সন্দেহ থাকলে আসুন এসে স্বচোখে দেখে যান।