করোনায় আক্রান্ত এক দম্পতি ঢাকা থেকে পালিয়ে কুষ্টিয়া আসার পর আজ শুক্রবার রাত ৮টা থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সামনে ভর্তির অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। তারা হলেন তছিকুল ইসলাম (৩১) ও তার স্ত্রী শিল্পী খাতুন (২৫)। তাদের একমাত্র সন্তান ফাতেমা (৫) তাদের সাথে রয়েছে। তছিকুল ধানমন্ডি এলাকায় থাকতেন এবং সেখানে একজনের ব্যক্তিগত গাড়ি চালাতেন।
আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল ২০২০) সন্ধ্যার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের তথ্যের ভিত্তিতে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রতন ক্লিনিকের সামনে থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এর পর তাদেরকে কুষ্টিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আক্রান্ত তছিকুল ইসলাম জানান, গত ২২ ও ২৩ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলে টেস্টে পজিটিভ আসে। তবে আমাদের মেয়ের নেগেটিভ।
তিনি জানান, আমাদের বাড়ি যেহেতু কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর তাই ঢাকায় ঠিকমতো চিকিৎসা পাব কিনা সেই ভয়ে আমরা কুষ্টিয়ায় চলে আসি। পথে নানান ঝামেলার পর এখন কুষ্টিয়া হাসপাতালের সামনে ৩০ মিনিট বসে আছি, কোনো ডাক্তার নেই।
জেলা সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে পালিয়ে তারা কুষ্টিয়া আসতে থাকে। পথে নানা ঝামেলা শেষে খবর পেয়ে আমরা অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে রাজবাড়ি থেকে তাদেরকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তির জন্যে নিয়ে এসেছি। ঢাকা ফেরত ঐ দম্পতিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি বাসায় থাকতেন তারা। বুধবার স্বামী এবং বৃহস্পতিবার স্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। আইইডিসিআর থেকে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ বলে তাদের জানানো হয়।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় আক্রান্ত দুই রোগীকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রতন ক্লিনিকের সামনে থেকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ঢাকার কোন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসেছে সেকথা তিনি জানাতে অসন্মতি জানিয়েছেন।