করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও কালীগঞ্জ উপজেলায় এক নারীসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ভোরে ও দুপুরে তাদের মৃত হয়।
মারা যাওয়াদের মধ্যে একজন কালীগঞ্জ উপজেলার ঘোপপাড়া গ্রামের মসলেম আলীর ছেলে শুকুর আলী (৫৫)। তিনি ঢাকা সিটি মিলের সিকউরিটি গার্ড হিসাবে কাজ করতেন। অপরজন শৈলকুপা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের মিল্টন সরদারের স্ত্রী পারভীন (৩২)।
জানান গেছে, ঢাকাতে শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে ভুগছিলেন শুকুর আলী। বুধবার রাত তিনটায় তিনি ঢাকা থেকে এসে কালিগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে উঠেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামিমা শারমিন লুবনা বলেন, মৃত ব্যক্তির দেহে করোনা উপসর্গ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তির শ্বশুর রহমানের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
অপরজন শৈলকুপা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। সে ওই গ্রামের মিল্টন সরদারের স্ত্রী পারভীন (৩২)।
অপর দিকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে পারভীনকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তার নমুনা নেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ঝিনাইদহ- কুষ্টিয়া সড়কের আমতলা নামক স্থানে মারা যায় সে। তার মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৩ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১০ জন, শৈলকুপা উপজেলায় ১২, হরিণাকুন্ডুতে একজন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৯ জন, কোটচাদপুরে ৯ জন এবং মহেশপুরে ২ জন রয়েছেন।
ইসলামী ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেছেন, এখন পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে এ জেলায় মারা গেছেন ৮ জন। তাদের সকলে দাফন কাফন এবং জানাজার ব্যবস্থা করেছেন ইসলামী ফাউন্ডেশন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করেছেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের গঠিত দাফন কমিটির সদস্যরা।