করোনা পরিস্থিতিতে মেস মালিকগণ ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করাতে চরম বিপাকে কুষ্টিয়ার হাজারো সাধারণ শিক্ষার্থী।
কুষ্টিয়ায় মেস (ছাত্রাবাস) ও বাসা ভাড়ার দুশ্চিন্তায় ভাড়াটিয়ারা। করোনার প্রভাবে স্থবির দেশ, মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নশ্রেণী সবার কপালেই ভাজ। নেই কোন কাজ, বন্ধ প্রতিষ্ঠান, ছাত্রাবাস ছাড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও ছাত্রাবাসে না থেকেও ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের, ফলে করোনা যতো দীর্ঘায়িত হচ্ছে ছাত্রাবাস ও প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে ভাড়াটিয়াদের।
কুষ্টিয়ার একাধিক প্রতিষ্ঠান মালিক জানায় দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ,তবে মাস শেষ হলেই গুনতে হচ্ছে পুরো ভাড়া, তবে ভাড়া নিয়ে নেই কোন আইন-কানুন, কিন্তু প্রতিষ্ঠান ভাড়া সহ যাবতীয় ব্যায় আমাদের বহন করতেই হচ্ছে, তাই আমাদের ভাড়া নিয়ে ইতিমধ্যে দুশ্চিন্তার শুরু হয়ে গেছে।
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ছাত্রাবাসে থাকা একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার কারনে দীর্ঘদিন ছাত্রাবাসে না থেকেও তাদের কে ভাড়া গুনতে হচ্ছে । কুষ্টিয়ার বিভিন্ন মেস মালিক তাদের মেসে ভাড়া থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীকে চাপ দিচ্ছে নিয়মিত মেস ভাড়া প্রদানের জন্য, এমনকি বিকাশে পরিশোধ করার জন্যও চাপ দিচ্ছে তার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন কয়েকজন ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থী এমনটি জানিয়েছেন। যা এ দুর্যোগ মুহুর্তে তাদের পরিবারের উপরে বাড়তি চাপ ফেলছে।
এছাড়া একাধিক ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন বিভিন্ন ভাড়া বাসার মালিক ফোন দিয়ে জোরপূর্বক ভাড়া চাচ্ছে এবং ভাড়া পরে দেওয়ার কথা বললে তাদের খারাপ খারাপ কথা শোনাচ্ছে এমনকি কোন কোন বাসার মালিক সরাসরি হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
তাই কুষ্টিয়ার সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মালিক, দোকান মালিক, স্কুল মালিক, কোচিং মালিক, ছাত্রাবাস সহ বিভিন্ন ভাড়াটিয়া সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই দুর্যোগ মুহুর্তে তাদের বেচে থাকার তাগিদে ভাড়া মওকুফের কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য কুষ্টিয়া শহরের ৬০ শতাংশ জনগন ই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ভাড়া বাসায় থেকে কেও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে, আবার কেও ছাত্রাবাস থাকে বা ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে।
উল্লেখ্য বর্তমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে! এমতাবস্থায় মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের আরও পাঁচ মাস বাড়িতেই অবস্থান করতে হবে। মেসে থাকা ৮০% শিক্ষার্থী গ্রামের দারিদ্র্য পরিবার থেকে উঠে আসে। শহরে এসে টিউশনি বা বিভিন্ন দোকানে সাময়িক কাজ করে নিজের যাপিত ব্যায় নির্বাহ করে । দেশের এই অচল অবস্থায় তাঁদের টিউশনি বন্ধ এবং পরিবারের আয়ের উৎসও বন্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় মেস মালিকদের ভাড়া পরিশোধ করা কষ্টসাধ্য ব্যপার, তাই সাধারণ শিক্ষার্থীগণ উক্ত বিষয়টি নিরসনের জন্য জেলা প্রসাশক, কুষ্টিয়া ও পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া মহোদয়ের হস্থহ্মেপ কামনা করেন।