করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়ায় বিআরবি গ্রুপের কর্মকর্তাসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিআরবি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের হিসাব বিভাগের আলি আহম্মেদ লিটন (৪৮) জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে আসে। তখন সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লিটন চৌড়হাস এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল কাশেম বাবুর ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, প্রয়াতের করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রয়াতের স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে অফিস কক্ষে গুরুতর অসুস্থ বোধ করেন। এ সময় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
“কয়েকদিন ধরেই জ্বর ও সর্দিতে ভুগছিলেন তিনি। সকালে তার অফিশিয়াল ট্যুরে খুলনায় যাওয়ার কথা ছিল।”
এছাড়া রবিবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকার বাসিন্দা হুকুম আলী ছেলে হাবিবুর রহমান (৪০) জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে হাসপাতালের ৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জেলার সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পরে পিসিআর ল্যাবে প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন।
সোমবার পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমষে শনাক্ত নয় জন মারা গেছে। এছাড়া এ রোগের উপসর্গ বা লক্ষণ নিয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলছে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিস।
Discussion about this post